- Home
- World News
- United States
- বন্ধুত্বে আরও একবার ধাক্কা! শুল্ক-মহাযুদ্ধে বোঝাপড়া না মিটলে বাণিজ্য নিয়ে কোনও কথা নয়, সাফ বার্তা ট্রাম্পের
বন্ধুত্বে আরও একবার ধাক্কা! শুল্ক-মহাযুদ্ধে বোঝাপড়া না মিটলে বাণিজ্য নিয়ে কোনও কথা নয়, সাফ বার্তা ট্রাম্পের
Trump On Tariff: রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জরিমানাস্বরূপ বন্ধুত্বে আঘাত। একধাক্কায় আরও ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে শুল্ক যুদ্ধে নেমেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার দিলেন আরও বড় হুঁশিয়ারি।
ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধে বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা
বন্ধু নরেন্দ্র মোদীকে মঙ্গলবারই হুমকি দিয়েছিলেন। যে, রাশিয়া থেকে তেল কিনলে তার শাস্তিস্বরূপ ভারতের ওপর চাপানো হবে আরও শুল্কের বোঝা। সেই কথা অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আরও চড়া শুল্ক চাপিয়াছে আমেরিকা। আর এবার এই শুল্ক মহাযুদ্ধের আবহে দেখা গেল দুই দেশের বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা।
KNOW
কেন বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পরও আমেরিকা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করতে আগ্রহী কীনা? এই প্রশ্নের জবাব ট্রাম্প এড়িয়ে গেলেও সাংবাদিকদের উদ্দেশে ঘাড় নেড়ে জানান, যতদিন না পর্যন্ত শুল্ক নিয়ে ভারতের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হচ্ছে ততদিন বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কোনওরকম আলোচনা হচ্ছে না।
ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক
বৃহস্পতিবারই ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এই শুল্ক কার্যকর হবে আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে। তখন মোট শুল্কের পরিমাণ হবে দ্বিগুণ। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ। মার্কিন মুলুকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যা সর্বাধিক। ফলে ট্রাম্পের এই ঘোষণায় ভারত আর ব্রাজিল বসল একাসনে। কারণ, ট্রাম্প আগেই ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ কর চাপিয়ে ছিলেন।
কেন ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত?
এদিক ভারত-মার্কিন শুল্ক মহাযুদ্ধে রাতারাতি মাথায় হাত পড়েছে ভারতের রফতানি বাজারে। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তবে এসবে থোড়াই কেয়ার। ট্রাম্পের দাবি, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনছে। আর ওই তেলের টাকা দিয়েই ইউক্রেনের সঙ্গে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। যা অনৈতিক। যদিও ট্রাম্পের এই দাবিকে নস্যাৎ করেছে ভারত। জবাবে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখেই ভারত বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে। ফলে যেখান থেকে সস্তায় তেল পাওয়া যাচ্ছে সেখান থেকেই তো তেল কিনবে ভারত। রাশিয়া সস্তায়য় তেল বিক্রি করে তাই ভারত কিনে থাকে।
মার্কিন শুল্কে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
এদিকে আমেরিকার এই পদক্ষেপকে অনায্য বলে সাফ জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি নিয়ে বৃহস্পতিবার এক জনসভা থেকে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সাফ জানান, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ভারত প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেবে। কৃষক-গোপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সবার আগে অগ্রাধিকার পাবে বলেও জানিয়েছেন নমো। তবে ৫০ শতাংশ শুল্কের এই বিশাল চাপ এড়াতে ভারত কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে মার্কিন শুল্ক নিয়ে এই অনিশ্চয়তায় রফতানি বাণিজ্যে কতটা প্রভাব ফেলবা তা অবশ্য এখনই হলফ করে বলা সম্ভব নয়।
