লাদাখের অন্যতম আকর্ষণ প্যাংগং লেক। কিন্তু সংরক্ষিত এই লেককে একদল পর্যটকের দায়িত্বজ্ঞাণহীন আচরণ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
প্রকৃতির এক অন্যন্য জায়গা লাদাখ। প্রত্যেক বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর লাদাখে ভিড় বাড়িয়েছেন অনেক পর্যটকরা। লাদাখের শক্ত মাটিতে নিজের গাড়ি ড্রাইভ করা পর্যটকদের কাছে অন্য একটি আকর্ষণ। অনেকেই লাদাখে যাওয়ার পথে বা গিয়ে চারচাকা বা মোটরসাইকেল বুক করেন। কিন্তু এবার সেই সুন্দর লাদাখকেই কলঙ্কিত করল পর্যটকদের আচরণ। পর্যটকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নোংরা করে দিন লাদাখকে। যা নিয়ে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সংরক্ষিত প্যাংগং লেকে একটি এসইউভি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানেই শেষ নয় ভিডিওটি দেখা যাচ্ছে পরিচ্ছন্ন প্যাংগংকে কীভাবে নোংরা করা হচ্ছে। কারণ হ্রদের জলে নামিয়ে আনা হয়েছে বেশ কয়েকটি চেয়ার, মদের বোতল, টেবিল, চিপসের প্যাকেট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন জগমিত লাদাখি নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, 'আমি আবার একটি লজ্জাজনক ভিডিও শেয়ার করছি। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন পর্যটকরা লাদাখকে নষ্ট করে দিচ্ছে।' একই সঙ্গে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশ্ন তুলেছেন- পর্যটকদের এই আচরণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পাখিদের জীবন- এটা কি পর্যটকরা জানেন। তিনি বলেছেন, লাদাখে ৩৫০টিরও বেশি পাখির প্রজাতি রয়েছে। যারমধ্যে অনেকগুলি প্রজাতির পাখি এই প্যাংগং লেখেই বাস করে। লেকের জলের ওপরই নির্ভর করে তাদের জীবনযাত্রা। কিন্তু পর্যটকদের এজাতীয় আচরণ পাখিগুলির জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। টুইটারের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামেও ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।
লাদাখের এই ভিডিওটি অনেক নেটিজেনই শেয়ার করেছেন। যা নিয়ে রীতিমত উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। পর্যটকদের এজাতীয় আচরণ ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। একনেটিজেন আবার ভিডিওটি পোস্ট করে লাদাখ ও হরিয়ানা পুলিশকে ট্যাগ করেছেন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিকে। কারণ ভিডিওটিতে যে অডি গাড়িটি দেখা যাচ্ছে সেটির নম্বর প্লেটে হরিয়ানার রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে।
রক্তাক্ত ইউক্রেনে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহ, রাশিয়ার সেনাদের বর্বরতার নজির
আমিষ খাবারকে কেন্দ্র ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল JNU, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না বলে বিবৃতি কর্তৃপক্ষের
'স্ত্রীকে এক রাতের জন্য পাঠাও', বসের এমন নির্দেশের 'ভয়ঙ্কর' উত্তর দিলেন উত্তর প্রদেশের এক ব্যক্তি