ত্রিপুরার পুলিশ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলত বার্তা পোস্ট করার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে।
সামনেই ত্রিপুরার (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা। এদিন বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি (VHP)-র পক্ষে থেকে ধর্মনগর (Dharmanagar) জেলায় একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময়বেশের সমই স্থানীয় একটি মসজিদে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তারপরই এই এলাকায় যে কোনও ধরনের সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জারি করা হেছে ১৪৪ ধারা (Section 144)।
পাশাপাশি ত্রিপুরার পুলিশ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলত বার্তা পোস্ট করার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি ধর্মনগরসহ গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর ত্রিপুরারয় এদিনের ঘটনার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বার্তা ছড়াচ্ছে। যেকোনও ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্যও রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানান হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা এজাতীয় গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্পর্শকাতর এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
India-China: চিনের নতুন সীমান্ত আইনের তীব্র সমালোচনা ভারতের, 'একতরফা' সিদ্ধান্ত বললেন অরিন্দম বাগচি
TMC vs BJP: মমতার গোয়া সফরের আগে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীর বিকৃত ছবি ঘিরে বিতর্ক
Bypoll: দেবতা 'পাথারো' অনুমোদন দেননি, তাই ওঁরা ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচনে ভোট দেবেন না
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায়উত্তর ত্রিপুরা জেলার চামটিলা এলাতায় একটি মসজিদে ভাঙচুর ও সংলগ্ন দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই এই এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রোয়া বাজারের কাছে সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের মালিকানাধিন তিনটি বাড়ি ও স্থানীয় কয়েকটি দোকানে লুঠপাট চালান হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
ত্রিপুরার সিপিএম পার্টির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য একদল দুষ্কৃতী সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে ত্রিপুরার বাম দলগুলির পক্ষ থেকে গোটা রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখারও আবেদন জানান হয়েছে। ত্রিপুরার জনগণকে শান্ত থাকার আবেদন জানান হয়েছে। হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ত্রিপুরা সিপিএম একটি বিবৃতি জারি করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপুরণও দাবি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপিও। দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন তিনি এই ঘটনার বিষয়ে অবগন নন। তবে এজাতীয় কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে রাজ্যের পুলিশ নিশ্চিয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।