উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়ে বিরোধীরা ধরাশায়ী হওয়ার বিষয়টি দেখেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "২০১৪ সালে নতুন ধারার প্রশাসন ও রাজনীতি চালু করেছিলেন। আর সেই বিষয় নিয়েই বরাবর কথা বলতেন তিনি। আমার মনে হয় তারই পরিণাম উত্তরপ্রদেশের এই নির্বাচনে জয়।"
এবারও যে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Eletion 2022) গেরুয়া ঝড়ই উঠবে সেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল আগেই। বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও (Exit Poll) দেখা গিয়েছিল এবার উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি (BJP)। আর সেই সমীক্ষাকে সত্যি করেই উত্তরপ্রদেশে (BJP in Uttar Pradesh) বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় ফিরল গেরুয়া শিবির। ফের সংখ্যাগরিষ্ঠ যোগী আদিত্য়নাথের (Yogi Adityanath) ব্রিগেড। অন্য়দিকে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপির বাম্পার জয় এরাজ্যের বিজেপি কর্মীদেরও অনেকটাই চাঙা করেছে। ৪০৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৬৫টি আসনে। সমাজবাদী পার্টি এগিয়ে রয়েছে ১২৭টি আসনে। ফলে সেখানে ফের সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ার পথে বিজেপি। যদিও এই জয় মোদিজির (Narendra Modi) নতুন ধারার প্রশাসনকে সমর্থনের পরিণাম বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)।
উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়ে বিরোধীরা ধরাশায়ী হওয়ার বিষয়টি দেখেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "২০১৪ সালে নতুন ধারার প্রশাসন ও রাজনীতি চালু করেছিলেন। আর সেই বিষয় নিয়েই বরাবর কথা বলতেন তিনি। আমার মনে হয় তারই পরিণাম উত্তরপ্রদেশের এই নির্বাচনে জয়।"
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির
তিন দশক পরে উত্তরপ্রদেশে পরপর দু'বার একই সরকার থাকছে। ২০১৭ সালে তিনশোরও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। আবারও তিনি ফিরতে চলেছেন ক্ষমতায়। তিনশো পার না হলেও আড়াইশোর বেশি আসনে জিতে যোগী আদিত্যনাথের প্রত্যাবর্তন চূড়ান্ত। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আমরা সবাই জানি যে উত্তরপ্রদেশে ২০১৪, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ব্যাপক জট পেয়েছিল বিজেপি। আর এবার ২০২২ সালেও সেই ধারা বজাট থাকল। ইউপির মানুষ উন্নয়নের রাজনীতি, সমৃদ্ধির রাজনীতি ও কয়েক দশক ধরে ঠই যে ধরনের রাজনীতি সেখানে দেখা যায়নি সেই রাজনীতিকে ভোট দিয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, "এই ভোটটি ক্ষমতার পক্ষে এবং সুশাসনের পক্ষে, দুর্নীতি ছাড়াই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়ন করার পক্ষে, সব নাগরিকের জন্য আইনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষার পক্ষে। মাফিয়া, দুর্নীতি ও মধ্যস্থতাবাদী রাজনীতির জেরে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। কংগ্রেস (Congress) ও সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) জেরেই এই সব ঘটনা ঘটেছে। আর তার হাত থেকে বাঁচতেই মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের (Indian democracy) জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।"
আরও পড়ুন- নারী ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান এই ২৯ মহীয়সীর, নারী দিবসেই নারী শক্তি পুরষ্কার রাষ্ট্রপতির