সোমবার উত্তরপ্রদেশের মাটিতে পা দেওয়ার পর থেকেই মমতাকে ঘিরে উন্মাদনা শুরু হয়। লখনউ বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই তাঁর নামে স্লোগান ওঠে। গাড়ি করে হোটেলে যাওয়ার পথেও অনেক জায়গায় মমতার কনভয়কে অভিবাদন জানান আমজনতা।
বাংলায় গেরুয়া রথ তিনি একাই আটকে দিয়েছিলেন। আর এবার উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে বিজেপিকে তাড়ানোর জন্য অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লখনউ-এর ভার্চুয়াল জনসভা থেকে তিনি ঘোষণা করেন যে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রচারে যাবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কেন্দ্র বারাণসীতে।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের মাটিতে পা দেওয়ার পর থেকেই মমতাকে ঘিরে উন্মাদনা শুরু হয়। লখনউ বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই তাঁর নামে স্লোগান ওঠে। গাড়ি করে হোটেলে যাওয়ার পথেও অনেক জায়গায় মমতার কনভয়কে অভিবাদন জানান আমজনতা। আর মমতার এই উন্মাদনাই প্রমাণ করে দিচ্ছিল যে দেশে মোদী বিরোধী মুখ এখন মমতাই। আর তারপরই ১৫ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতে প্রচারের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'ওর হাতে রক্ত লেগে', মমতাকে নাম না করে তোপ, উত্তরপ্রদেশবাসীকে সতর্ক করলেন শুভেন্দু
সোমবার সন্ধ্যায় লখনউ পৌঁছন মমতা। মঙ্গলবার দুপুরে অখিলেশকে পাশে ভার্চুয়াল সভা করেন তিনি। বলেন, "আমি উত্তরপ্রদেশের ভোটে লড়াই করতে আসিনি। আমি এখানে এসেছি, আমার ভাই অখিলেশকে সমর্থন জানাতে। উত্তরপ্রদেশের মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে জয়ী করুন। আমি আবার আসব। ১৫ তারিখে আবারও জনসভা করতে আসব। বারাণসীতে যাব।"
আরও পড়ুন- 'মমতার মুখে শিল্পের কথা না শোনাই ভালো', নিশানা শুভেন্দুর
এরপর বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। বলেন, "কুম্ভ মেলার মতো বাংলায় গঙ্গাসাগর মেলা হয়। উত্তরপ্রদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ যান গঙ্গাসাগর মেলায়। আমরা কারও কাছে তাঁর ধর্ম জানতে চাই না। ভোটের পর বিজেপির কাউকে দেখা যায় না। ভোটের পর কোকিলের মতো উবে যায় বিজেপি।" পাশাপাশি হাথরসের ঘটনা নিয়েও বিজেপিকে খোঁচা দেন তিনি। বলেন, "হাথরসের ঘটনার জন্য আগে মাফ চান, তারপর ভোট চাইবে। উন্নাওয়ের ঘটনার জন্য আগে মাফ চাও। পবিত্র গঙ্গায় লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই লাশ তুলে তার সৎকার করেছি। কত মানুষের দেহ আপনারা গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন ? তাঁদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান আপানারা। কোভিডে যখন মানুষ মরছিল তখন যোগীজি কোথায় ছিলেন ? তখন আপনি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে গেছিলেন?"
আরও পড়ুন- 'উত্তরপ্রদেশে হারলে, দেশেও বিজেপি হারবে', লখনউয়ের সভা থেকে দিল্লি জয়ের ডাক মমতার
উল্লেখ্য, ১৮ জানুয়ারি অখিলেশের দূত হয়ে মমতার সঙ্গে তাঁর কালীঘাটের বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দ। ওই দিনই কিরণময় জানিয়ে দেন, মমতা উত্তরপ্রদেশে দু’দফায় প্রচারে যাবেন। উত্তরপ্রদেশে তাঁর প্রচার নিয়ে মমতা বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের ভোটের সময় অখিলেশের হয়ে তৃণমূলের পক্ষে প্রচারে গিয়েছিলেন জয়া বচ্চন ও কিরণময় নন্দ। তাই ভাই অখিলেশের হাত শক্ত করতেই আমি উত্তরপ্রদেশে এসেছি। আবারও তাঁর সমর্থনে প্রচারে আসব।"