সংক্ষিপ্ত

আসলে জনসংখ্যার নিরিখে উত্তরপ্রদেশ দেশের সবথেকে বড় রাজ্য। আর এখানে যদি বিজেপি হেরে যায়, তাহলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি হারবে। তাই মঙ্গলবার প্রচার সভা থেকে অখিলেশের পাশে বসে উত্তরপ্রদেশবাসীর কাছে এই আর্জি জানান মমতা।

১০ জানুয়ারি প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। তবে বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে লড়াই করবে না তৃণমূল (TMC)। অবশ্য লড়াই না করলেও সমাজবাদী পার্টিকে (Samajwadi Party) সমর্থন জানিয়েছে তারা। আর তাই এসপি-র হয়ে প্রচারে এই মুহূর্তে যোগী রাজ্যে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) আমন্ত্রণে আজ উত্তরপ্রদেশের লখনউতে ভার্চুয়াল সভা করেন তিনি। সেই সভায় অখিলেশের হয়ে গলা তুললেন মমতা। বলেন, "বিজেপিকে (BJP) হঠাতে অখিলেশকে সমর্থন করুন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি হারলে, দেশেও বিজেপি হারবে। অখিলেশ যাদব জিতলে বাংলা আর উত্তরপ্রদেশ মিলে শিল্প তৈরি হবে। আমরা একসঙ্গে পর্যটন শিল্পের উন্নতি করতে পারব।"

'উত্তরপ্রদেশে ভোট কাটাকুটি হতে দেবেন না'

আসলে জনসংখ্যার নিরিখে উত্তরপ্রদেশ দেশের সবথেকে বড় রাজ্য। আর এখানে যদি বিজেপি হেরে যায়, তাহলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি হারবে। তাই মঙ্গলবার প্রচার সভা থেকে অখিলেশের পাশে বসে উত্তরপ্রদেশবাসীর কাছে এই আর্জি জানান মমতা। এর সঙ্গে তিনি বলেন, কোনওভাবেই যেন ভোট কাটাকাটি না হয়। লড়াইটা হবে বিজেপি বনাম সমাজবাদী পার্টির। তিনি জানান, গত বছর পশ্চিমবঙ্গে লড়াইটা মুখোমুখি হয়েছিল - তৃণমূল বনাম বিজেপির। ভোট কাটাকুটি হয়নি। উত্তরপ্রদেশ থেকেও বিজেপিকে হটানোর জন্য সেই কাজটাই করতে হবে। মমতার কথায়, "আমি ভোট এবং রাজনীতি বুঝি। নির্বাচনের রাজনীতিতে আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। তাই ভোট কাটাকুটি হতে দেবেন না। মা-বোনরা যদি এককাট্টা হতে পারেন তাহলেই বিজেপিকে হারানো সম্ভব।" আর মমতার প্রচার নিয়ে অখিলেশের দাবি, ‘মমতাকে দেখে বিজেপির হারের ভয় আরও বেড়ে যাবে’। 

আরও পড়ুন- নজরে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন, অমিত শাহের হাতে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ

'আব কি বার, অখিলেশ সরকার। আব কি বার, দেশ কা সরকার'

তবে বিধানসভা ভোটে না লড়লেও লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশেও লড়াই করবে তৃণমূল। সেই বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মমতা। আর আজ উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের হয়ে প্রচারের সময় দিল্লি দখলের বার্তা দিলেন তিনি। বললেন, "আব কি বার, অখিলেশ সরকার। আব কি বার, দেশ কা সরকার।" আজ লখনউয়ে বিক্রমাদিত্য মার্গে সমাজবাদী পার্টির কার্যালয় থেকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখান থেকেই বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও (Yogi Adityanath) কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, "বাংলায় প্রচার করতে গিয়ে বলেছিলেন যে সেখানে মমতা দিদি দুর্গাপুজো হতে দেন না। আর তারপরই যোগ্য জবাব দিয়েছে ইউনেস্কো। কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে।" 

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দলের অবস্থান, দেখে নিন এক নজরে

লখনউয়ের প্রচারে হাথরস ও উন্নায়ের ঘটনা নিয়ে সরব মমতা 

পাশাপাশি হাথরাস ও উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়েও বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। সেই ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ি করেছেন তিনি। বলেন, "যাঁরা হাথরাস, উন্নাওয়ের ঘটনার জন্য দায়ি এবং করোনাভাইরাসের সময় উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় মৃতদেহ ফেলে দিয়েছিলেন, তাঁদের কোনওদিন ক্ষমা করবে না ইতিহাস। এই ঘটনার সময় আপনি কোথায় ছিলেন? উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে যোগীজিকে ক্ষমা চাইতে হবে।"

আরও পড়ুন- কেন উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারে মমতা - তাঁর কী লাভ, জাতীয় স্তরে কি আদৌ গ্রহণযোগ্য তিনি