৬ বছরের মেয়েটির ফুসফুস খুবলে বার করে নিয়েছিল ধর্ষকরা,কেন তা দেওয়া হয়েছিল এক দম্পতিকে

  • উত্তর প্রদেশের কানপুরে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা 
  • খুনের পর শরীর থেকে বার করা হয়েছিল ফুসফুস 
  • তুলে দেওয়া হয়েছিল দম্পতির হাতে 
  • কালাযাদুতে সন্তানের জন্ম দিতে চেষ্টা 

এক দম্পতির সন্তানের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অকালেই ঝরে গেল ছোট্ট একটি প্রাণ। উত্তর প্রদেশের কানপুরের ঘটামপুর এলাকায় দিওয়ালির রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল ৬ বছর একটি শিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কানপুর পুলিশের সামনে এল এক ভয়ঙ্কর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে সন্তান লাভের জন্য এক  দম্পতি ৬ বছরের শিশুর ফুসফুস নিবেদন করেছিল দেবতার কাছে। তাই মেয়েটিতে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু হত্যা করার আগে ছোট্ট মেয়েটিকে গণধর্ষণও করা হয়েছিল বলে দাবি করছে কানপুর পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে এক মহিলাকে। 

Latest Videos

ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৯ সালে। পরশুরাম কুড়িলের সঙ্গে স্থানীয় এক মহিলার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও তাদের কোনও সন্তান হয়নি। কালাযাদু করে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল পরশুরাম। সেইমত তার ভাইপো অঙ্কুল কুড়িল ও তার বন্ধু বিরেনকে একটি মেয়ের ফুসফুস নিয়ে আসার জন্য রাজি করিয়েছিল। পরশুরামের নির্দেশ মত দুই বন্ধু দিওয়ালির রাতেই ৬ বছরের মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাশের একটি জঙ্গলে। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু হত্যার আগে দুই বন্ধু ছোট্ট মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। 

'গুফকার গ্যাং' এর পাল্টা জবাব কাশ্মীরের নেতাদের, কী বললেন তাঁরা অমিত শাহকে

সন্ত্রাসবাদে মদতকারী রাষ্ট্রগুলিও দোষী, চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

ধর্ষণের পর ৬ বছরের মেয়েটিকে হত্যা করা হয়। তারপর বুক চিরে বার করে নেওয়া হয় ফুসফুস। তবে কালাযাদুর জন্য মেয়েটিকে খুন কার হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্নিফার ডগ নিয়েও তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির শিশু সুরক্ষা আইন ও যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কানপুরের পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন মেয়েটির পরিবার দিওয়ালির পুজোয় ব্যস্ত ছিল। সেই সময় সে বাড়িতে বেরিয়ে বাজি কিনতে গিয়েছিল তখনই তাঁকে অপরহণ করা হয়েছিল। দিওয়ালির রাত থেকেই মেয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায় তার বাবা মা। কিন্তু রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে গিয়েও তারা খালি হাতে ফিরে আসে। পরের দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গলের মধ্যে থেকেই উদ্ধার করে নির্যাতির শিশুর দেহ।  পাওয়া গেছে নিযাতিতার জমা কাপড় ও চটিও। এই ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবিতে সরব হয়েছে অনেকেই। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ নির্যাতিতার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'আমি বলছি, আমার নাম করে লিখে রাখুন' ঝাঁঝিয়ে উঠে যা বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
প্রেমের নামে এসব কী! নিখোঁজ নাবালিকার মর্মান্তিক পরিণতি, শোকের ছায়া পরিবারে | Nadia News Today
‘২৬ এর নির্বাচনই তৃণমূলের শেষ নির্বাচন!’ Samik-এর সাবধানবাণী Mamata-কে, দেখুন | By Election Results
বাপ রে! ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ডাকাতি! আতঙ্কের ছায়া গোটা এলাকায় | Salt Lake Theft News Today
রেলের উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে ধ্বংস হকারদের রুটিরুজি! Sheoraphuli-তে হাহাকার! | Hooghly News