ডিসেম্বরেই নির্ভয়াকান্ডের ছায়া জয়পুরে, চলন্ত বাসের কেবিনে দলিত কন্যা-কে গণধর্ষণের অভিযোগ

নির্ভয়াকান্ডের এই ঘটনা যা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। তবে দুঃখের বিষয় অভিযুক্তরা শাস্তি পেলেও মুক্তি নেই এই নির্ভয়া-দের। আজও তারা একইভাবে নির্যাতিত হয়।

 

deblina dey | Published : Dec 16, 2023 5:32 AM IST / Updated: Dec 16 2023, 01:10 PM IST

১৬ ডিসেম্বর তারিখটি ভারতের ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায়, এই ঘটনার উল্লেখ করলেই মনে হয় দেশ জুড়ে কত না নির্ভয়া প্রতিনিয়ত এই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কিন্তু উপযুক্ত শাস্তি পাচ্ছে কতজন। এই দিনেই একটি নিষ্পাপ মেয়ের সঙ্গে এমন কিছু ঘটেছিল, যা সবাইকে হতবাক করেছিল। এই দিনেই নৃশংসতার বর্বরতার শিকার হতে হয়েছিল দেশের এক মেয়েকে। আসলে, এই দিনেই ঘটে যাওয়া 'নির্ভয়া ঘটনা'-র কথা বলছি। এই ঘটনা যা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। তবে দুঃখের বিষয় অভিযুক্তরা শাস্তি পেলেও মুক্তি নেই এই নির্ভয়া-দের। আজও তারা একইভাবে নির্যাতিত হয়।

এই নির্ভয়া ঘটনার ছায়া আবারও দেখা গিয়েছে রাজস্থানের জয়পুরে। নির্ভয়ার মতোই উত্তরপ্রদেশ রাজস্থান বাসরুটে ২০ বছরের দলিত মেয়েকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই বাসচালক। ৯ ডিসেম্বর ঘটে এই ঘটনা। এই রুটের বাসে রাজস্থান যাওয়ার উদ্দেশ্যে কানপুর থেকে বাসে উঠে ছিলেন নির্যাতিতা। বাসের কেবিনের মধ্যেই আরিফ ও ললিত নামের ওই দুই অভিযুক্তের বর্বরতার শিকার হন নির্যাতিতা। ঘটনা ঘটার কিছু সময়ের মধ্যেই নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আরিফ-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ললিত পলাতক।

এখানেই থেমে নেই রাজস্থানে ছয় বছরের এক বাচ্চাকে ধর্ষণের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যেখানে ২৮ বছর বয়সী এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দৌসার-এর একটি হোটেল-কাম-ওয়েডিং হলে। ধৃত যুবকের নাম অনিল মীনা, যিনি জয়পুর জেলার বাসিন্দা। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সে এই অপরাধ করেছে। যে হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল তার কাছেই তার বাড়ি।

এমতাবস্থায় স্কুল ভ্যান চালক আব্দুল মজিদ ওই নাবালিকাকে হুমকি দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করতে থাকে। একই সময়ে আবদুলের সঙ্গে তার কয়েকজন বন্ধুও ওই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও ভিকটিমের বাবা মেয়েটিকে স্কুল থেকে ফেরার সময় একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার এবং তার ছোট ভাইকে ভ্যানে বেঁধে রাখার অভিযোগও দায়ের করেছেন।

বিয়েতে মর্মান্তিক ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে

ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত ৭ ডিসেম্বর হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। উভয় পক্ষের লোকজন কর্মসূচীতে ব্যস্ত থাকায় অনিল সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোটেলের ভেতরে চলে যায়, যেখানে হলের একটি ঘরে বাচ্চা মেয়েটি একা ঘুমাচ্ছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগায় অভিযুক্ত। বাচ্চা মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে তিঁনি তাঁকে শান্ত করেন এবং তাঁকে তার কোলে তুলে তার ঠাকুমার হাতে তুলে দেন।

অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ বর ও কনে পক্ষের প্রায় ৩০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। হোটেল স্টাফ, ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফার, ক্যাটারিং স্টাফ এবং অন্যান্য ২০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। হোটেলের আশেপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও পরীক্ষা করেছে পুলিশ। অবশেষে সাইবার টিমের সহায়তায় অনিল মীনাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

Share this article
click me!