পদযাত্রায় বেরিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু, নিজে নির্বাচনে লড়বেন কিনা, সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন ভোটগুরু।
বিভিন্ন রাজ্যের তাবড় রাজনৈতিক দলগুলির জন্য স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেন ভারতের ভোটগুরু পিকে, অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু, ভোটের ময়দানে তাঁর নিজের লড়ার সম্ভাবনা কতদূর, তা নিয়ে মাঝে মাঝেই গুঞ্জন ওঠে রাজনীতির ক্ষেত্রে। সেই বিষয়ে আরও একবার সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর।
শনিবার বিহার রাজ্যের একটি বিশেষ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন পিকে। সাংবাদিক সম্মেলনে কথোপকথনের সময়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আগামী দিনে তিনি নিজে নির্বাচনে লড়াই করবেন কিনা। সেই প্রশ্নের জবাবে পিকে বলেন, "কেন আমি নির্বাচনে লড়াই করব, আমার এমন কোনও ইচ্ছাই নেই।"
নিজের রাজ্য বিহারকে আরও ভালোভাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন প্রশান্ত। ১২ নভেম্বর আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জেডি(ইউ) নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ উগরে দেন। এই দলের নেতারাই বর্তমান ভোটগুরুকে একসময় রাজনৈতিক বুদ্ধিধারী ‘ধান্দাবাজ লোক’ বলে তোপ দেগেছিলেন। এখন সেই নেতাদের দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্দেশ্যে প্রশান্ত কিশোর প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন আমাকে নিজের বাসভবনে ২ বছর ধরে বসিয়ে রেখেছিলেন?’
নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-কে নিশানা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, "জেডিইউ নেতারা আমাকে তিরস্কার করতে পছন্দ করেন। আমি যেহেতু স্বাধীন পথ নিয়েছি, সেটা তাঁদের পছন্দ হয়নি। নীতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে আমাদের রাজনৈতিক বোঝাপড়া না থাকলে, আমি ২ বছর তাঁর বাসভবনে ঠিক কী করছিলাম।,"
নীতীশ কুমারকেই সরাসরি খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, "১০ বছর আগের নীতীশ কুমারের সঙ্গে এখনকার নীতীশ কুমারের অনেক পার্থক্য রয়েছে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে হেরে যাওয়ায় নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন নীতীশ কুমার পদে থাকার জন্য সবকিছুর সঙ্গে আপোষ করতে পারেন।"
এর পাশাপাশি মহাজোট সরকারের ১০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতিকেও কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, "আমি আগে অনেকবার বলেছি। এখন আমি আবারও বলছি, যদি তাঁরা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন, তবে আমি প্রচার করা ছেড়ে দেব।"
চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে পশ্চিম চম্পারণ জেলা থেকে পদযাত্রায় বেরিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। বিহারের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার যাত্রা করবেন তিনি। সময় লাগবে প্রায় ১২ থেকে ১৮ মাস। কিন্তু, নিজে নির্বাচনে লড়বেন কিনা, সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন ভোটগুরু।
আরও পড়ুন-
রাজ্য সরকারের ঋণ দফতরের কর্মীর মতিভ্রম, লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে মানিকতলা থেকে চম্পট
পোষ্য জীব কাউকে কামড়ে দিলে বা রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ করলে মালিককে গুনতে হবে মোটা টাকার জরিমানা
৩ বছরের ছোট্ট সন্তানকে খুন করে বালতিতে ডুবে মৃত্যুর মিথ্যা প্রচার, আনন্দপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য