সংক্ষিপ্ত
দেখা যায়, শুধুমাত্র মানিকতলার ওই ব্যবসায়ী নন, আরও বহু মানুষের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন অভিযুক্ত শান্তনু রায়।
মানিকতলা থেকে সস্ত্রীক বাসাবদল করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মী। উঠে এসেছিলেন সোদপুরের একটি বাড়িতে। এলাকার বাসিন্দারা তাঁর পূর্ব জীবন সম্পর্কে অবগত ছিলেন না কেউই। সেই কর্মীর বাড়িতেই সকাল সকাল কলকাতা পুলিশের হানা। সম্ভ্রান্ত বৃদ্ধের বিরুদ্ধে উঠল লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ।
উত্তর কলকাতার মানিকতলা থেকে সোদপুরের নাটাগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে এসেছিলেন শান্তনু রায় নামে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। রবিবার বিশাল অঙ্কের প্রতারণার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতেন শান্তনু রায়। এই এলাকায় নতুন এসেছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঋণ প্রদান দফতরে তিনি কাজ করতেন বলে জানতেন আঞ্চলিক মানুষ। রবিবার সকালে এই শান্তনু রায়ের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ঘোলা ও খড়দা থানা পুলিশ কর্মীরা। তদন্তকারীদের দাবি, এই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় আসার আগে শান্তনু তাঁর পরিবার নিয়ে মানিকতলা এলাকায় বাস করতেন। সেখানকার এক স্থানীয় ব্যবসায়ীকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন শান্তনু। কিন্তু, ফ্ল্যাট কেনা তো দূরের কথা, ১০ লক্ষ টাকাও আর ফেরত দেননি শান্তনু। টাকা ফেরত পাবার জন্য ওই ব্যবসায়ী শান্তনু রায়কে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকায় হঠাৎ চম্পট দেয় প্রতারক, দেখা যায় সপরিবারে আচমকাই মানিকতলার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন শান্তনু। বিপদ বুঝে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ব্যবসায়ী। ১০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী শান্তনু রায় ও তাঁর স্ত্রী তাপসী রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
গোপনে খোঁজ খবর করে পুলিশ জানতে পারে, সোদপুরের নাটাগড়ে একটি আবাসন ভাড়া নিয়ে থাকছেন শান্তনু। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা সদলবলে সোদপুর নাটাগরের ওই বাড়িতে অভিযান চালান। দেখা যায়, শুধুমাত্র মানিকতলার ওই ব্যবসায়ী নন, আরও বহু মানুষের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন শান্তনু। প্রতারিত ব্যবসায়ী বিনোদ জসওয়ালের বক্তব্য, তাঁকে ফ্ল্যাট কিনে দেবেন বলে দু’বারে মোট ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন এই সরকারি কর্মী। ফ্ল্যাট না দিয়ে বাড়ি থেকেই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এখন খুঁজতে খুঁজতে এখানে এসে টাকা ফেরত চাওয়ার পর উনি বলছেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। যে সমস্ত প্রতারিতরা টাকা পান, তাঁরা সকলেই আজ সকালে শান্তনুর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়ে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
আরও পড়ুন-
পোষ্য জীব কাউকে কামড়ে দিলে বা রাস্তাঘাটে মলমূত্র ত্যাগ করলে মালিককে গুনতে হবে মোটা টাকার জরিমানা
৩ বছরের ছোট্ট সন্তানকে খুন করে বালতিতে ডুবে মৃত্যুর মিথ্যা প্রচার, আনন্দপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য
দলবদল করতে গেলে গাড়ি রাস্তার সঙ্গে মিশে যেতে পারে, তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর হুঁশিয়ারিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি