শীতবস্ত্র বিতরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদেশে তড়িঘড়ি হিঙ্গলগঞ্জে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

বিড়ম্বনার পরিস্থিতির যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য এবার রাজ্যের একজন মন্ত্রীর হাতেই শীতবস্ত্র বিতরণের দায়িত্বভার দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Sahely Sen | Published : Nov 30, 2022 9:09 AM IST

২৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার থেকে দু’দিনের জন্য সুন্দরবন সফরে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভার আগেই প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ নিয়ে শুরু হয় গোলযোগ। বস্ত্র বিতরণের খবরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকাশ্য সভা থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশ্যে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। এই বিড়ম্বনার পরিস্থিতির যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য এবার রাজ্যের একজন মন্ত্রীর হাতেই শীতবস্ত্র বিতরণের দায়িত্বভার দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


 

সুন্দরবনের দরিদ্র মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে বুধবার হিঙ্গলগঞ্জে পৌঁছলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর বক্তব্য, মঙ্গলবারেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে প্রায় ২ হাজার জন মানুষকে শীতের বস্ত্র প্রদান করা হয়ে গেছে। বুধবার হিঙ্গলগঞ্জ এবং সন্দেশখালি অঞ্চলে আরও অন্তত ১০টি ক্যাম্প করে প্রায় ২ হাজার মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে, সেই বিতরণের মাঝে কিছু গোলযোগ হয়েছিল বলেই স্বীকার করে নিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।


 

সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, "মুখ্যমন্ত্রী ১৫ হাজার মানুষকে শীতের জামাকাপড় দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। বাঘের মুখে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের জন্য শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা তিনি করতে পেরেছিলেন। উনি সব কিনে সুন্দরবনে পাঠিয়েও দিয়েছিলেন। মাঝে কিছুটা সমস্যা হয়। আমরা সামলে নিয়েছিলাম। তারপরে উনি চলে যাওয়ার পরেও আমরা মানুষের মধ্যে শীতের জামাকাপড় বিতরণ করি।" তবে, শুধুমাত্র শীতের জামাকাপড়ই নয়, এর পাশাপাশি সুন্দরবনের মানুষের দৈনন্দিন রোজগারে সহায়তা করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অটো, টোটো এবং নৌকাও বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী।


 

২৯ নভেম্বর সুন্দরবনের বনবিবির মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তিনি হিঙ্গলগঞ্জে একটি সভা করেন। সেই সভার শুরুতেই দেখা দেয় সমস্যা। সময় মতো অনুষ্ঠানমঞ্চে শীতবস্ত্র না পৌঁছনোয় আধিকারিকদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কড়া গলায় ধমক দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করেন, "এখানে শীতবস্ত্র দিতে এসেছিলাম, কিন্তু সেগুলো বিডিও অফিসে কেন?" এরপর তিনি স্পষ্ট কথায় জানিয়ে দেন, তাঁর মঞ্চে শীতবস্ত্র এসে পৌঁছনো না পর্যন্ত তিনি ওই সভাতেই বসে থাকবেন। প্রায় ২০ মিনিট পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে এসে পৌঁছয় সেই শীতবস্ত্রের সম্ভার। এই ঘটনার পরে আবার নিজের ভাষণ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ শামশেরনগরেও শীতবস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁর।


আরও পড়ুন-
কেবলমাত্র পুরাণের বিষ্ণুর বাহন নয়, বাস্তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজরদার হতে চলেছে বাজপাখি
দিল্লির পুরভোটের প্রচারে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তুলে ধরলেন বাংলার দুর্নীতির উদাহরণ
দেশের উপরাষ্ট্রপতির আসনে বসেই বাংলায় ফের ধনখড়, স্ত্রীকে নিয়ে সোজা উপস্থিত হলেন কালীঘাট মন্দিরে

Share this article
click me!