ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গোলযোগের কারণে মাত্র কয়েক মিনিটেই চলে এসেছে হাজার হাজার অভিযোগ। অনেকে বলেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সিঙ্গল টিক থেকে ডবল টিক হচ্ছে না।
দীপাবলিতে ডিজিটাল বিপর্যয়। দুপুর ১২টা নাগাদ হঠাৎ করেই গোলমাল হয়ে গেল দেশের হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবায়। ফেসবুকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘মেটা’র এই মেসেঞ্জার পরিষেবা ব্যবহার করেন ভারতের বিপুল সংখ্যক মানুষ। বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম এই হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যস্ত দিনে কোনও সতর্কবার্তা ছাড়া আচমকাই অ্যাপ থমকে যাওয়ায় কাজের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। ভারত জুড়ে বহু ব্যবহারকারী অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন। তবে, দুর্ঘটনার প্রায় আধ ঘণ্টা পরও সংস্থার তরফ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ১১ হাজারেরও বেশি হোয়াটস্যাপের ব্যবহারকারী আচমকা গোলযোগের কারণে থতমত খেয়ে গিয়েছেন, বহু কার্যক্ষেত্রে তড়িঘড়ি এসে গিয়ে অভিযোগ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধাক্কা খেয়েছেহোয়াটস্যাপের সঙ্গে জড়িত বিবিধ পরিষেবা। অনেকেই জানিয়েছেন, হোয়াটস্যাপ গ্রুপে পাঠানো মেসেজ ডেলিভারই হচ্ছে না। অনেকে বলেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সিঙ্গল টিক থেকে ডবল টিক হচ্ছে না। অর্থাৎ, সার্বিক ভাবে বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়ছে গোটা দেশ। কিন্তু, কেন হঠাৎ করে এমন আকস্মাৎ গোলযোগ, তার কোনও তাৎক্ষণিক ব্যাখ্যা দেয়নি ‘মেটা’।
অন্যান্য সময়ে পরিষেবার কোনও গোলযোগ দেখা দিলে হোয়াটসঅ্যাপের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে গোলযোগ সংক্রান্ত আপডেট দেওয়া হয় টুইটারে। কিন্তু, ২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুর ১টা বেজে গেলেও টুইটারে হোয়াটসঅ্যাপ গোলযোগের কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেনি ‘মেটা’। এরপর দুপুর দেড়টা নাগাদ টুইটারে মেটার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, অ্যাপে একটি গোলমাল হয়েছে। যদিও, সেই বিবৃতিতে গোলমালের কারণ জানায়নি কর্তৃপক্ষ। তবে তা না জানালেও, বিভিন্ন প্রযুক্তি সূত্র মারফৎ জানা গেছে যে, গোটা ভারত জুড়ে সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার কারণেই বিপর্যস্ত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় ২ ঘণ্টা কেটে গেলেও ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বিপর্যয়ের কোনও সুরাহার আশ্বাস দেওয়া যায়নি। যদিও, আপাতত হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘মেটা’ আশ্বাসে জানা গেছে যে, যাবতীয় গোলযোগ সারিয়ে অতি শীঘ্রই বিপদ মিটিয়ে ফেলার কাজ চলছে। ভারতের বহু সরকারি সংস্থার কাজও করা হয় এই সোশ্যাল যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা, অর্থাৎ, শুধুমাত্র বেসরকারি সংস্থাই নয়, সরকারি কাজও থমকে গেছে হোয়াটসঅ্যাপের গণ্ডগোলের কারণে।
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, দুপুর প্রায় ২টো বেজে ১৯ মিনিট নাগাদ আবার স্বচ্ছল পরিষেবায় ফিরে এসেছে এই যোগাযোগ মাধ্যম।
আরও পড়ুন-
দীপাবলির সকাল থেকেই মনোরম রোদ্দুর, হিমেল হাওয়ায় এযাত্রা কি সিত্রাং-এর বিপদ পেরিয়ে গেল বাংলা?
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর এলোমেলো গতিবিধিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ, সারা দেশজুড়ে প্রচুর প্রাণহানি!
‘কেষ্টদা’ এখন জেলে! তিন কোটি টাকা থেকে দেড় লক্ষে এসে ঠেকল দলীয় কার্যালয়ের কালীপুজোর বাজেট, কমল সোনার অলঙ্কারও