গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রবিবার সারাদিন চলবে জনতার কারফিউ। আর ওই দিনই বিকেল পাঁচটার সময়ে দেশের মানুষ নিজেদের বারান্দা থেকে থালা বাজিয়ে অভিবাদন জানাবেন সেইসব লোকেদের, যাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনার মরশুমে সেবা করে যাচ্ছেন গোটা দেশকে।
মোদীর ঘোষণার পরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কোনও দরকারি ঘোষণা না-করে প্রধানমন্ত্রী শুধুই ভয় ছড়ালেন টিভির পর্দায়। কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান যেখানে গোটা দেশের নাগরিকের বাড়িভাড়া থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ-খরচা নিজের হাতে তুলে কথা বলেন, কেরল যেখানে ২০হাজার কোটি টাকার প্য়াকেজ ঘোষণা করে, সেখানে নরেন্দ্র মোদী শুধুই চমক দিতে চান বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পাল্টা অনেকেই বলতে থাকেন, একদিনের জন্য় হলেও বাড়িতে থাকলে করোনার ভাইরাসের শৃঙ্খল বা চেন ভেঙে যাবে। ফলে সংক্রমণ ছড়াবে না।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকুন- কীভাবে, জানুন
করোনাভাইরাসের রক্ত নিয়ে সাবধান- ব্লাড গ্রুপে কোন প্রভাব, জানুন
কী ভাবে আক্রমণ করোনার- শরীরের কোন অংশ হয় নিশানা, জানুন
হাত ধোবেন কিসে- স্যানিটাইজারের থেকে বেশি শক্তিশালী সাবান
করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভুয়ো তত্ত্ব, সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, দেখে নিন
হোম কোয়ারেন্টাইে থাকাকালীন মেনে চলুন স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ রুজুতা দিভেকর এই ডায়েট চার্ট
এমতাবস্থায় যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির মধ্য়ে ভারতীয় রেল ওইদিন কয়েকহাজার ট্রেন বাতিল করে। কলকাতায় মেট্রো রেলও চলবে না বলে জানানো হয়। এমতাবস্থায় দিল্লিতে জোর জল্পনা ছড়ায়, রাস্তায় বেরোলে দিল্লি পুলিশ কি মোটা টাকা জরিমানা করবে রবিবার? শুধুই জল্পনা নয়, বলতে গেলে খবর হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এই জরিমানার কথা। আর তাতেই মানুষ প্রশ্ন করতে শুরু করে, যেখানে মানুষের ইচ্ছার ওপর বিষয়টা ছেড়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, সেখানে কেন পুলিশ জোরজবরদস্তি করবে?
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি পুলিশ নিজেই জল্পনায় জল ঢেলে দেয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ তাদের একটি সরকারি টুইটে জানিয়ে দেয়--- এমন একটি খবর ছড়িয়েছে বটে। তবে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। রবিবার যাঁরা রাস্তায় বেরোবেন তাঁদের বিরুদ্ধে এমন কোনও পদক্ষেপ করবে না দিল্লি পুলিশ।