ভারতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাড়ি ও সেলোয়া । আর এই সনাতনী পোশাক পরার কারণে রাজধানী দিল্লিতে নামজাদা রেস্তোরাঁয় হেনস্থা হতে হল এক তরুণীকে। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দিল্লির বসন্তকুঞ্জের অ্যামবিয়ান্স মলে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই তরুণী। কাইলিন অ্যান্ড আইভি রেস্তোরাঁয় প্রবেশের সময় পরনে শাড়ি থাকার কারণে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। রেস্তোরাঁর এক কর্মী জানিয়ে দেন শাড়ি পরে আসার কারণে সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না ওই তরুণী। এরপর গোটা বিষয়টি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ট্যুইটারে পোস্ট করেন সঙ্গীতা কে নাগ নামের ওই মহিলা।
ভিডিও শেয়ার করার পাশাপাশি সঙ্গীতা লেখেন, " সনাতনি পোশাকে প্রবেশাধিকার নেই! ভারতের এক রেস্তোরাঁ 'স্মার্ট ক্যাজুয়াল' পোশাককে অনুমতি দিলেও ছাড় দিচ্ছে না ভারতীয় পোশাককে! এটা ভারতীয় হিসাবে গর্ব করার মত ঘটনা? রুখে দাঁড়ান!"
রেস্তোরাঁর ড্রেসকোড পলিসিও শেয়ার করেন সঙ্গীতা কে নাগ, যেখানে উল্লেখ করা রয়েছে " স্মার্ট ক্যাজুয়াল কেবল/শর্টস নয়/ স্লিপার নয়"। কিন্তু ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁ কর্মী বলছেন, ভারতীয় সনাতনী পোশাকে ভিতরে যাওয়া যাবে না। তা শুনে অপর একট ব্যক্তি বলেন, ড্রেসকোড অনুযায়ী তাঁরা শর্টস বা স্লিপার পরে আসেননি।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক রাখতে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল মা, জানতে পেরে আত্মহত্যা মেয়ের
সঙ্গীতা কে নাগ জানান, তিনি সেদিন স্যুট, দোপাট্টা এবং পাটের জুতো পরে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। তরুণীর পোস্ট করা ওই ভিডিও নিমেশে ভাইরাল হয়ে যায়। রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরে পঞ্জাবে নিখোঁজ ৩৩৫, নাগপুরে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে পালাল ৫
রেস্তোরাঁর আচরণ নিয়ে ট্যুইট করেন স্বয়ং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা তথা কংগ্রেস নেত্রী শর্মীষ্ঠা মুখোপাধ্যায়।
এরপরে অবশ্য রেস্তোরাঁটির তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। জানান হয় সেদিন গেটের বাইরে দায়িত্বে থাকা ওই ব্যক্তি নতুন কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি বুঝতে পারনেনি।
তবে এদেশে পোশাকের কারণে বিড়ম্বনা নতুন নয়। ২০১৭ সালে ধুতি পরার কারণে একটি মলে প্রবেশাধিকার পাননি এক ব্যক্তি। এই ঘটনা নিয়েও সেইসময় সরগরম হয়েছিল নেটদুনিয়া।