প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি, অতিথি হিসাবে জি ২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকার পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ স্বীকার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত হবে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে নয়াদিল্লিতে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের আমন্ত্রণে জি ২০ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাঁর এই সফর। বাংলাদেশ জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশ নয়। কিন্তু ২০২৩-এ এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করছে ভারত। সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিল নয়াদিল্লি, অতিথি হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকার পক্ষ থেকে এই আমন্ত্রণ স্বীকার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেপ্টেম্বর মাসে জি ২০ বৈঠক ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকেও অংশ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। কূটনৈতিকদের মত অনুযায়ী, এই বৈঠক বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ থেকেই বাংলাদেশে চলবে নির্বাচনের মরসুম। সেই মরসুমেই বিরোধী দলগুলিকে দৃষ্টান্তমূলক জবাব দিতে ভারতের কাছ থেকে বেশ কিছু ‘কূটনৈতিক উপহার’ আশা রাখছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ সরকার।
ঢাকা সূত্রের খবর, দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর মাসে দুই দেশের ভেতরকার দ্বিপাক্ষিক জটগুলি খোলসা হলে মোদী-হাসিনার বৈঠক সফল হবে। যে সফলতা আসন্ন নির্বাচনে হাসিনার পক্ষে অনুকূল হবে।
ঢাকা যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রধানত আলোচনা চাইছে, তার মধ্যে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যা। যেহেতু, সীমানা সংক্রান্ত বিষয়টি দেশবাসীর আবেগের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কোনও হত্যা হচ্ছে না, কিন্তু, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বহু প্রাণহানি হচ্ছে। এই ধরনের যাবতীয় ক্ষতি এড়াতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বেশ কিছু বিষয়কে লক্ষ্য রেখে এগোতে চাইছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-
‘জি ২০-তে ভারত তথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব প্রশংসনীয়’, জানালেন ওয়র্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের চেয়ারম্যান ক্লাউস শোয়াব
২৪ ঘণ্টা জেরার পর ইডি-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা কুন্তল, 'তাপস আমাকে ফাঁসাচ্ছে', গ্রেফতারির পর সাংবাদিকদের কাছে দাবি
বনেটে একজন যুবক আটকে রয়েছেন দেখেও কেন গাড়ি থামালেন না তরুণী? বেঙ্গালুরুর রাস্তায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা