সংক্ষিপ্ত

‘বৈশ্বিক ভূ-অর্থনীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারত দৃষ্টান্ত হিসেবে একটি উজ্জ্বল স্থান পেয়েছে’, বলে মন্তব্য করেন ওয়র্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা। 

সুইৎজারল্যান্ডের ডাভোসে তাবড় বিশ্বনেতারা পৃথিবীর কঠিনতম সংকটগুলির সমাধানের উদ্দেশে ক্রমশ অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় এই সংকটগুলি প্রকট হয় এবং ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপকে বিভাজিত করে। আরও মজবুত, স্থিতিস্থাপক বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য ভিত্তি স্থাপন করার পাশাপাশি সরকার এবং ব্যবসায়িদের অবশ্যই জনগণের তাৎক্ষণিক, সমালোচনামূলক চাহিদাগুলিকে সমাধান করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি একই সাথে তাৎক্ষণিক সংকট এবং দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এবং ভারত অধিনায়ক হিসেবে এই সংগঠনের উদ্দেশ্যগুলির পরিপূরক।

জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সংগঠনে ভারতের অধিনায়কত্ব সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস শোয়াব বলেন, “ভারতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এবং এর অনেক শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতার সাথে দেখা করে আমি খুশি হয়েছি।” “আমি পুনর্নবীকরণযোগ্য জলবায়ুর ক্ষেত্রে দেশের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ, বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা ইকোসিস্টেমে এই দেশের অবদান, নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের জন্য একটি অর্থনৈতিক মডেলের উপর ফোকাস করা এবং ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামোতে এর নেতৃত্বের প্রশংসা করি। বৈশ্বিক ভূ-অর্থনীতি এবং ভূ-রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারত দৃষ্টান্ত হিসেবে একটি উজ্জ্বল স্থান পেয়েছে।”

ভারতের সাথে ওয়র্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের যোগাযোগ প্রায় ৩৮ বছরের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে জি ২০-তে তাঁর সভাপতিত্ব থাকাকালীন এই সংগঠন নিজেদের অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহী। ভারত জি ২০ সভাপতি থাকাকালীন সকলের জন্য একটি ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধি প্রচার করছে মনে করছে ওয়র্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। “জি ২০-র অধিনায়কত্ব ভারতের হাতে এসে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। এই ভেঙে পড়া বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব যথেষ্ট কঠিন”, মনে করেন ক্লাউস শোয়াব।

আরও পড়ুন-

বনেটে একজন যুবক আটকে রয়েছেন দেখেও কেন গাড়ি থামালেন না তরুণী? বেঙ্গালুরুর রাস্তায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা
গুমোট গরমে অস্বস্তির পর শনিবার ফের পারদ পতন বাংলায়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
লাভের আশা করে লোকসানেই ভুগছে টুইটার, ইলন মাস্কের অধীনে ৪০ শতাংশ আয় সংকট