খুলনা থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক নারীর দ্বিখণ্ডিত দেহ। প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল একটি কাটা মুণ্ডর। যার সঙ্গে মিল রয়েছে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের। প্রেমিকাকে হত্যা করে টুকরো করেছিল দেহ।
আফতার - শ্রদ্ধার প্রেম আর তাদের নির্মম পরণতি নিয়ে যখন গোটা ভারত তোড়পাড় হচ্ছে ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। তবে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড সামনে আসার মাত্র দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশে প্রেমিকাকে হত্যা করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেছিল প্রেমিক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বা ব়্যাবের হাতে গ্রেফতার সেই প্রেমিক। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিকের আরও এক বান্ধবী। যার সঙ্গে অভিযুক্ত দিন কয়েক ধরে একই ছাতের তলায় থাকতে শুরু করেছিল।
চলতি মাসের শুরুতেই খুলনা থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক নারীর দ্বিখণ্ডিত দেহ। প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল একটি কাটা মুণ্ডর। দেহের বকি অংশ তখনও নিখোঁজ। প্রথম মহিলার পরিচয় জানতে পারেনি। কিন্তু তদন্তে নেমে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে সামনে আসে নিহতের পরিচয়। জানতে পারে মহিলার নাম কবিতা রানি। তারপরই পুলিশের তদন্তে সামনে আসে মহিলার প্রেমিক আবু বক্কর সিদ্দিকের নাম। তদন্তেই পুলিশ জানতে পারে সাতক্ষীরার বাসিন্দা কবিতা। আর আবু বক্করের বাড়ি বাঘেরহাটে।
তদন্তে নেমে জানতে পারেন অবু আর কবিতা রানির মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আবু স্বপ্না নামের একটি মেয়ের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। কিন্তু কবিতা তা মানতে নারাজ। আবুকে বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। এই অবস্থায় আবু তাঁর আর স্বপ্নার ভাড়া বাড়িতেই কবিতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।উদ্দেশ্য ছিল শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার। কিন্তু সেই বাড়িতে গেলেও শারীরিক সম্পর্কে স্থাপনে রাজি হয়নি। সেখানেই দুজনের তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। এই অবস্থায় আবু বক্কর কবিতাকে শ্বাসরোধ কের হত্যা করে। কবিতার দেহ কয়েকটি টুকরো করে। তবে ৩৫টি নয়।
বাংলাদেশ পুলিশের দাবি কবিতার মাথা দেহ থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। কবিতার হাতের কবজি কেটেছিল। দেহ আরও কটেকটি খণ্ড কবে। কবজিটি একটি ড্রেনে ফেলে দিয়েছিল। মাথাকি একটি পলিপ্যাকে মুড়িয়ে রেখে দিয়েছিল। আর দেহের বাকি অংশ একটি বাক্সে রেখে সেটি ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। তারপর সেই রাতে নিজের সহবাস সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে রুপসা নদী পেরিয়ে ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু তারপরের দিনই আবু বক্করের বাড়ি থেকে কবিতার বাকি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান আবু কবিতার দেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণে সে নিজের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিল গা ঢাকা দিতে।
শুরু হয়ে যায় তদন্ত। তারপরই প্রবাদ অনুযায়ী কান টানলে মাথা আসে- সেইমতই আবু বক্করের সন্ধান পায় পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আবু বক্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের জেরায় আবু কবিতাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাকে সঙ্গে নিয়েই কবিতার কাটা কবজি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুনঃ
শ্রদ্ধাকে নিথর শরীরের পাশে বসে রাতভোর গাঁজা খেয়েছিল আফতাব, জেরায় কবুল হত্যাকারীর
বাংলাদেশের আমির-ফতেমার প্রেম কাহিনি, মনে করিয়ে দিল দিলওয়ালে দুলহনিয়ার রাজ আর সিমরানকে