সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদের তীব্র সমালোচনা করেন। কড়া ভাষায় ধিক্কার জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের কালো মুখ ভারত দেখেছে। জঙ্গি হানায় অকালেই ঝরে গেছে বহু মূল্যবান জীবন। ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।
সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থ সাহায্য নয় - এই শিরোনামে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নাম না করেই পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বেশ কিছু দেশ রয়েছে যারা বিদেশ নীতির অঙ্গ হিসেবে সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করে। সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপের জন্য আর্থিক সাহায্য় করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আফগানিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বৈঠকে অংশগ্রহণ না করার জন্য পাকিস্তানকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন কিছু দেশ তাদের রাজনৈতিক ও আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদীদের আদর্শকেও সমর্থন করেন।
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদের তীব্র সমালোচনা করেন। কড়া ভাষায় ধিক্কার জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের কালো মুখ ভারত দেখেছে। জঙ্গি হানায় অকালেই ঝরে গেছে বহু মূল্যবান জীবন। কিন্তু তারপরেও ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'নো মনি ফর টেরর' নামে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকে বক্তৃতা দেন। সেখানেই তিনি বলেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জরো টলারেন্স নীতির কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'সমস্ত সন্ত্রাসবাদী হামলার সমান ক্ষোভ ও পদক্ষেপ প্রাপ্ত।' সন্ত্রাসবাদকে মানবতা ও স্বাধীনতা ও সভ্যতার ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী হুমকি মোকাবিলা করার জন্য অস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির কোনও স্থান নেই।' তিনি আরও বলেন সন্ত্রাসবাদের প্রভাব দরিদ্র ও স্থানীয় অর্থনীতির ওপর রীতিমত কঠোর হয়ে দাঁড়ায়। এমন এলাকা কেউই পছন্দ করে না যেখানে তাদের ক্রমাগত হুমকির মুখে দাঁড়াতে হয়।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, দেশে ও আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অর্থ সাহায্য বরদাস্ত করা হবে না। এরজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে এনআইএ-এর প্রধান দিনকর গুপ্তা বলেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোর হয়েছে। আর সেই কারণে দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্যও এই দেশে অনেক কমেছে।