
শেষ এক বছরে চিনের অর্থনৈতিক সম্পদ রেকর্ড গতিতে বেড়়েছে। সুইজ মাল্টিন্যাশানাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চিনে আত্মপ্রকাশ করেছেন নতুন দুই ধনকুবের। চলতি সপ্তাহেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা একটি অন্য দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করছেন। ধনকুবেরদের বিচ্ছিন্ন করার পরিবর্তে চিনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি করার দিকেই তাঁরা পদক্ষেপ করবেন। তিনি বলেছেন অর্থনীতির 'সাধারণ সমৃদ্ধি' দিকেই নজর দেবে বেজিং। চিনে অর্থনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করে কমিউনিস্ট পার্টির অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণকারীরা।
চিনের অর্থনীতি
ব্লুমবার্গের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগামী দিনে চিনই বিশ্বের আর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। যদিও চিনা কমিউনিস্ট সরকার এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কতটা দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে বেজিং সম্পদ পুনর্বন্টনের একটি প্রক্রিয়া চালু রাখবে। যেখানে ধনীদের কর বৃদ্ধির পাশাপাশি দরিদ্রদের আরও বেশি সুযোগ সুবিধে প্রদান করা হবে।
এটি খুব একটা খারাপ ধারনা নয়। কিন্তু চিনেও অন্যান্য দেশগুলির মত সম্পদের ব্যবধান গত কয়েক দশক ধরেই চোখে পড়ার মত। দেশের ২০ শতাংশ ধনী ব্যক্তির সম্পদ দেশের কুড়ি শতাংশ গরিব মানুষের সম্পদের তুলনায় ১০ গুণ বেড়েছে। যার ফলে ক্রমশই প্রকট হচ্ছে সামাজিক বৈষম্য। তবে দেশের সম্পদ বাড়ায় দেশের সবশ্রেণির মানুষ উপকৃত হবেন বলেও মনে করে চিনা প্রশাসন। বিশ্বব্যাপী বিলিয়নারদের সম্পদ বেড়েছে। তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাগ্য দ্রুত বদলাচ্ছে চিনা ধনকুবেরদের।
চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং সরকার যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন তা কতটা বাস্তবায়িত করতে তার ওপর অনেককিছু নির্ভর করবে। চিন একটি আদর্শ সমাজে পরিণত হতে পারে যদি ব্যবসাগুলিকে উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত দেয়। তবে বেজিং ধনীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তা যদি দরিদ্রদের প্রদান করে তবে তা আর্থনীতিকে কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আফগান সেনা থেকে জঙ্গি নেতা, সাত তালিবান নেতার অন্যতম স্টানিকজাইয়ের ভারতীয় যোগ
আফগানিস্তান ও তাইওয়ান
চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তানে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল তা আগামী দিনে তাইওয়ানকেও প্রভাবিত করতে পারে। যদিও চিনে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ প্রত্রিকা গ্লোবাল টাইমস তাইওয়ানবাসীকে কিছুটা হলেও হুমকি দিয়েই বলেছেন কাবুলের পতন দেখে তাদের এবার চিন্তা করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কতটা নির্ভর করতে পারে। এটা শুধু এক সংবাদ পত্রের সম্পাদকেরই মত নয়। চিনের অনেক বন্ধুও একই কথা বলেছেন। তারা বলেছেন মূলভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ওয়াশিংটন তাদের হয়ে যুদ্ধ করতে আসবে না। যদিও সামরিক শক্তিতে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে তাওয়ান।
আফগানিস্তান আর তাওয়ানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল পুরোপুরি মার্কিন নিয়ন্ত্রণে নেই। তাইওয়ান প্রধান জানিয়েছেন আফগানিস্তান যে শিক্ষা দিয়েছে তা হল তাইওয়ান যদি অভ্যন্তরীন বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ে তাহলে কেউ সাহায্য করতে আসবে না। যদিও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট জ্যাক সুলিভান বলছেন তাইওয়ানের প্রতি আমেরিকার অঙ্গীকার রীতিমত পবিত্র। আগের মতই দৃঢ়়।
শিল্পের সঙ্গে স্বাস্থ্যেও কড়া নজর, ৪ ঘণ্টা SSKM এ থাকার পরে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
সবুজ বিভ্রান্তি
২০৩৫ সালের মধ্যে আমেরিকার বিদ্যুৎ খাতকে কার্বন মুক্ত করার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যা একটি জটিল বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। চিনের শক্তি সরবরাহের চেইনগুলি নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। কারণ মার্কিন কাস্টম হোশাইন সিলিকম ইন্ডাস্ট্রির উপকরণ সম্বলিত সরঞ্জামগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাশাপাশি সৌর শিল্পের ওপর ফোকাস করেছে।
সমস্যা হল হোশাইন হলে বিশ্বের সবথেকে বড় ধাতব সিলিকন উৎপাদক। যা সৌর প্যানেলের মূল উপাদান পলিসিলিকন পরিমার্জিত। মেটালাজিক্যাল সিলিকম সম্মব প্যানেল থেকে বেশ কয়েকটি ধাপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোলার প্যানেলের দাম আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। জিনজিয়াংয়ের বাসিন্দের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে গত জুন মাসেই বাইডেন প্রশাসন হোশিয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞ জারি করেছিল।কয়েক দফা আলোচনার পর সেনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্যাকেজ পাশ করে। আইনটি হাইসে চলে যাওয়ার সঙ্গ সঙ্গে সামনে আসে চারটি সংস্থার নাম।