
একসময় যেই বাড়িতে বসে লিখেছিলেন নিজের জীবনের অন্যতম সংকলন 'গীতাঞ্জলি' সেই বাড়িই আজ মালিকানা বদলের মুখে। লন্ডনের এই বাড়িতে বসেই 'গীতাঞ্জলির' ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই 'গীতাঞ্জলির' মাহাত্মেই বাঙালি প্রথম পেয়েছিলাম নোবেল পুরস্কারের সম্মান। কবিগুরুর জীবনে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংকলনগুলির মধ্যে একটি এই 'গীতাঞ্জলি'। এই বাড়ি এবং 'গীতাঞ্জলি' দুই নিয়েই বাঙালির আবেগের শেষ নেই। আজ কবিগুরু না থাকলে ও রয়ে গেছে তাঁর অমর সংকলন এবং রয়ে গাছে এই বাড়িতে জড়ানো কবিগুরুর স্মৃতি। বর্তমানে সেই বাড়িই বিক্রির মুখে।
আরও পড়ুন- Durga Puja ২০২১: দুর্গাপুজোয় ভিড় এড়াতে নয়া নির্দেশিকা জারি করলো কেন্দ্র
২০১৫ সালে লন্ডনে গিয়ে এই বাড়িটি দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশে ফিরে তিনি ভারত সরকারকে ঐ বাড়িটি পাকাপাকিভাবে ভারতীয় সম্পত্তি হিসাবে কিনে নেওয়ার জন্য চিঠি ও লেখেন। কিন্তু হেরিটেজ সম্পত্তি হওয়ায় ঐ সময় বাড়িটি কেনা সম্ভব ছিল না। বর্তমানে বাড়িটি একটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং সেই বাড়ির বর্তমান মালিক বাড়িটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড হিথে অবস্থিত এই বাড়িতে ১৯১২ সালে এসেছিলেন কবিগুরু। বাড়িটির নাম 'ভিক্টোরিয়ান ভিলা'। এখানে বসেই ১০৩টি কাব্যের অনুবাদ ও করেছিলেন তিনি। এরপর সেই অনুবাদ নোবেল কমিটিকে পাঠালে, ১৯১৩ সালে ভারতের প্রথম ব্যক্তিত্ব হিসাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯৩১ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতে কাটিয়েছেন কবিগুরু। সেই বাড়িই আজ বিক্রির মুখে, দাম উঠেছে ২৭ লক্ষ পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২৭.৩০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- অর্থনীতিতে সুখবর, এফডিআই আসার পরিমাণ বাড়ল ৬০ শতাংশের বেশি
উল্লেখ্য, ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছিলেন ভারত সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন বাড়িটিকে ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন করার জন্য। হেরিটেজ সম্পত্তি হওয়ায় তখন কিছু সম্ভব হয় নি ঠিকই তবে হেরিটেজ সম্পত্তি হিসাবেও কবিগুরুর বাড়িকে রক্ষা করা সম্ভব হলো না বলেই আক্ষেপ দেশবাসীর। উল্লেখ্য, একসময় কবিগুরুর এই বাড়ি হেরিটেজ সম্পত্তি হিসাবে রক্ষিত হলেও হেরিটেজ ট্রাস্টের মেয়াদ শেষ হতে তা আর বাড়ানো হয়নি। ফলত, কবিগুরুর লন্ডনের সাধের 'ভিক্তোরিয়ান ভিলা' পরিণত হয় ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে।
আরও পড়ুন- Modi Govt: সিম পরিবর্তন করতে KYC চার্জ মাত্র ১ টাকা বিরাট ঘোষণা মোদী সরকারের