সংক্ষিপ্ত
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমল্যা হ্যারিস শপথ নেওয়ার পর শুক্রবার হোয়াইট হাউসে প্রথমবার তাঁর মুখোমুখি হন মোদী। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে আলাপচারিতা চলে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (US Vice-President) তিনি। তাঁর সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) সঙ্গে মোদীর বৈঠক হয়। করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে এই বৈঠকে (Modi and Harris Talk) উঠে এসেছে একাধিক বিষয়। এমনকী, দেশের উন্নয়ন নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি আফগানিস্তানের (Afghanistan) বর্তমান অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমল্যা হ্যারিস শপথ নেওয়ার পর শুক্রবার হোয়াইট হাউসে (White House) প্রথমবার তাঁর মুখোমুখি হন মোদী। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে আলাপচারিতা চলে। ভারত ও আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা। এমনকী, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত যখন বিধ্বস্ত, সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকা। সেই কাজের জন্য আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী।
এছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন প্রসঙ্গও উঠে এসেছে মোদী-হ্যারিস সাক্ষাতে। সম্প্রতি ভারতে ন্যাশনাল হাইড্রোজেন মিশন লঞ্চ করা হয়েছে। বৈঠকে সেকথাও হ্যারিসকে জানিয়েছেন তিনি। এবং সুস্থ পরিবেশের কথা মাথায় কীভাবে বিভিন্ন শক্তিকে কাজে লাগানোর উপর ভারত বেশি জোর দিচ্ছে তাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- মার্কিন সফরের প্রথম দিনেই লক্ষ্য বিনিয়োগ, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠক Qualcomm কর্তার সঙ্গে
আরও পড়ুন- কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠকের আগেই মার্কিন সংস্থার CEO-র সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
ভবিষ্যতে যে সব ক্ষেত্রে দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করবে তা নিয়েও আলোচনা করেছেন এই দুই প্রধান। আগামীদিনে মহাকাশ গবেষণা, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মতো ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করবে দুটি দেশ। আর হ্যারিসের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাতে মুগ্ধ মোদী। হ্যারিসকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি তাঁকে 'অনুপ্রেরণা' বলেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ভারতীয় বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা জানিয়েছেন, "এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক উষ্ণতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।" শৃঙ্গলা আরও জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের প্রসঙ্গে উঠে আসতেই পাকিস্তানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন হ্যারিস। তা নিয়ে মোদীর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এই ধরনের জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনকে লাগাম টানার কথাও বলেন তিনি। বিষয়টির উপর নজরদারি চালানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সাথে একমত হন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।