Anju Nasrullah: হোটেল ম্যানেজার হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন অঞ্জু, নাসরুল্লাকে বিয়ের ভিডিও-র পর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

‘মেয়েটা ওখানেই মরে যাক!’ মধ্যপ্রদেশ থেকে পাকিস্তানে থাকা মেয়েকে অভিশাপ দিলেন অঞ্জুর বাবা। 

Sahely Sen | Published : Jul 26, 2023 8:20 AM IST / Updated: Jul 26 2023, 02:12 PM IST

১৩ বছর বয়সী কন্যা এবং মাত্র ৫ বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে রাজস্থানের বাড়িতে স্বামীর কাছে ছেড়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন ৩৪ বছরের গৃহবধূ অঞ্জু। তাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা উত্তর প্রদেশে, বিয়ের পর রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় স্বামী অরবিন্দের সঙ্গে থাকতেন তিনি। হঠাৎ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নিজের স্বামীর কাছে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘জয়পুর যাচ্ছি’। এই কথা বলে ২০ জুলাই পাসপোর্ট নিয়ে বেরিয়েছিলেন অঞ্জু। তারপর ওয়াঘা বর্ডার পার করে সোজা চলে গেছেন পাকিস্তানে। যদিও, পরিবারকে এরপর ভিডিও কল করে সত্যি কথাটা জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। 

২০১৯ সালে অঞ্জুর সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল পাকিস্তানের ২৯ বছর বয়সী যুবক নাসরুল্লা-র। তাঁর কথা নিজের স্বামীকে কখনওই জানাননি অঞ্জু। পরে সংবাদমাধ্যম থেকে স্বামী অরবিন্দ যখন অঞ্জুর পাকিস্তানে চলে যাওয়ার খবরটা পান, তখন অঞ্জু নিজের স্বামীকে বলেন যে, তিনি বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেই আবার দেশে ফিরে যাবেন। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছিল যে, নাসরুল্লা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দির এলাকার থানায় হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন যে, অঞ্জুর সাথে তাঁর কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই, তাঁরা শুধুই বন্ধু এবং অঞ্জু বাড়ির অন্যান্য মহিলা সদস্যদের সঙ্গে আলাদা ঘরে বাস করছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তিনি শীঘ্রই ভারতে ফিরে যাবেন। (বিস্তারিত পড়ুন- নাসরুল্লা অঞ্জুর ‘প্রেমিক’ নন!)

অরবিন্দ রবিবার অঞ্জুকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনি পাকিস্তানে গিয়ে বিয়ে করেছেন কিনা। এর জবাবে অঞ্জু জানান যে, তাঁর কখনওই বিয়ের পরিকল্পনা নেই। অথচ, ২৫ জুলাই, মঙ্গলবার রাতেই জানা যায় যে, অঞ্জু পাকিস্তানে গিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন, সেখানে তাঁর নাম হয়েছে ফতিমা এবং তিনি ফেসবুকের ‘বন্ধু’ নাসরুল্লা-কে বিয়ে করেছেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও-ও অনলাইনে ভাইরাল হয়। 
 


এরপর, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, অঞ্জু সেই দেশে জানিয়েছেন যে, তাঁর নাকি আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তাই তিনি এখন নাসরুল্লাকে বিয়ে করতে চান। নাসরুল্লা-র সঙ্গে ফেসবুকেই তাঁর প্রেম গড়ে উঠেছিল। সেই কারণেই তাঁকে বিয়ে করার জন্যে তিনি পাকিস্তানে এসেছেন বৈধ ভিসা নিয়ে। ভিসা- তেও দেখা গেছে, পাকিস্তানে আসার কারণ হিসেবে অঞ্জু নিজের বিয়ের কথাই উল্লেখ করেছেন। সেই ভিসায় হোটেল ম্যানেজার হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করেছেন অঞ্জু , ওরফে 'ফতিমা'। 

অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে থাকেন অঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ টমাস। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি প্রার্থনা করেছেন, তাঁর মেয়ে মরে গেলেই ভালো হত। নিজের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে রেখেই অঞ্জু চলে গেলেন বলে আক্ষেপ করেছেন তাঁর বাবা। এরম পদক্ষেপ নিতে হলে নিজের স্বামীকে আগে ডিভোর্স দিয়ে তার পর বিয়ে করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অঞ্জুকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি ভারত সরকারের কাছে আবেদন করবেন কিনা, এ কথা জানতে চাইলে,  গয়া প্রসাদ টমাস জোর দিয়ে বলেছেন যে, অঞ্জু নিজের পছন্দ বেছে নিয়েছে এবং এরপর কিছু হলে, তার মোকাবিলা সে নিজেই করে নেবে। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, “আমি প্রার্থনা করছি…ও ওখানেই মরে যাক।” 

আরও পড়ুন- 
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে 'ইন্ডিয়া' জোটের অনাস্থা প্রস্তাব কি আসলে বিরোধী জোটের রাজনৈতিক চাল?
Abhishek Banerjee: হাইকোর্টে শুনানি না হয়েও স্বস্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজে থেকেই সময় দিল ইডি

Recruitment Scam: CBI-এর চোখা প্রশ্নের মুখোমুখি মানিক ভট্টাচার্য, বুধবার দ্বিতীয় দফায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ

আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষদের রক্তপরীক্ষার প্রস্তাব

Share this article
click me!