ইমরান খান ও বুশরা বিবি ইসলামিক প্রোটোকল অনুসরণ না করেই বিয়ে করেছিলেন। এই অভিযোগে ট্রায়াল কোর্ট গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করিছুলেন বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেরার।
প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের বিয়ে কি অবৈধ? তাই নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল পাকিস্তানেক আদালতে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাাল কোর্ট ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তাতে ইমরান খানকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইমরান খান দ্বারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ জেলা ও দায়রা আদালতে। কিন্তু সেই আদালতের বিচারক ইমরান খানের বিয়ের নিয়ে মালার রায় দিতেই অস্বীকার করেছেন। তিনি নিজেকে মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিচারক নিজেরই বদলির আবেদন জানিয়েছেন।
ইমরান খান ও বুশরা বিবি ইসলামিক প্রোটোকল অনুসরণ না করেই বিয়ে করেছিলেন। এই অভিযোগে ট্রায়াল কোর্ট গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করিছুলেন বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেরার। তাঁর অভিযোগ ছিল বুশরা ইসলাম ধর্মের নির্দেশ অমান্য করে বিয়ে করেছিলেন। বুশরার প্রাক্তন স্বামী আদালতে বিয়ে বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষী সাব্যস্ত করা হয় বুশরা বিবিকেও।
এই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুশরা বিবি ও ইমরান খান উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৩ মে। ইসলামাবাদ দেলা ও দায়রা আদালতে মামলার শুনানি হয়। রায়ও সংরক্ষণ করা হয়। তিন্তু বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ রায় ঘোষণা করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি নিজেকে মামলা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি অভিযোগকারীর আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বুশরার প্রাক্তন স্বামী। বিচারক নিজেকে মামলা থেকে প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে বুশরাহ স্বামী আদালত থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু ইমরানের আইনজীবীরা তাঁকে নিশানা করে। তাঁর তীব্র সমালোচনা করে।
ইমরান ও বুশরা ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলেন। ওই বছরই ইমরান নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বুশরা ইমরানের আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা ছিলেন। তারপরই তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ট হয়ে পড়েন। তারই বিয়ে করেন। বুশরার আগের বিবাহিত জীবন ছিল ২৪ বছরের। তাঁর পাঁচ সন্তান ছিল। তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। তারপরই বিয়ে করেন। বুশরা হলেন ইমরানের তৃতীয় স্ত্রী।