সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল দোনেস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। Clashes erupted between Ukraine and Russia after Russian President Vladimir Putin recently recognized the two separatist regions of Ukraine, Donetsk and Luhansk, as independent territories.
রাশিয়া-ইউক্রেনের সমস্যার মধ্যেই মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা। এদিকে গতরাতেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে খাতায় কলমে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেন সীমান্তে আক্রমণ শুরু করেছে পুতিনের দেশ। ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Russian President Vladimir Putin.)। যাতে আরও বেড়েছে জটিলতা। এদিকে এই যুদ্ধ পরিস্থিতেত ইতিমধ্যেই অনেক দেশ সরাসরি রাশিয়ার সমর্থনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে আরও অনেক দেশকেই সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করতে দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল দোনেস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি যা তাতে সহজেই বলা যায় ঠান্ডা যুদ্ধ-র প্রায় ৪০ বছর পর ফের দু'ভাগে বিভক্ত বিশ্ব। একদিকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা অন্যদিকে রাশিয়াকে সমর্থন করছে চিন। এই পরিস্থিতিকে অনেকেই 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ'র প্রাক মুহূর্ত বলেই তুলে ধরছেন। কিন্তু এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে ভারত কী ভাবছে? সহজ ভাবে দেখতে গেলে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কটকে রীতিমতো গুরুত্ব সহকারেই দেখছে ভারত। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন জটিলতা নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার কথাই বলেছে দিল্লি। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে আবার ভারতের শত্রু দেশ চিনের বর্তমানে বেশ সখ্যতা রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে খানিক কূটনৈতিক অবস্থান সর্বদাই নিতে হচ্ছে ভারতকে।
এদিকে এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে গিয়েও কথাবার্তার মাধ্যমে ইউক্রেন-রাশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছিল ভারত। তবে এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া এবং ভারতের সম্পর্ক বেশ ভালোই থেকেছে। এমনকি একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে ছেড়ে ভারতের সমর্থনের দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। সেকথা ভোলেনি ভারত। অন্যদিকে আরও সহজ ভাবে দেখতে গেলে ভারত আমেরিকা এবং রাশিয়া উভয়ের কাছাকাছি। আমেরিকা চায় ভারত সমর্থন করুক কিন্তু ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব রাশিয়ার সঙ্গে বেশি। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য রাশিয়ার উপর ভারতের নির্ভরতা রয়েছে। এখানে চিনের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেও ভারতের জন্য রাশিয়ার সমর্থন জরুরি। অন্যদিকে আমেরিকা ও রাশিয়ার আবার অতীতের আদর্শগত শত্রুতা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে যদিও আবার সাম্প্রতিককালে ভালোই সম্পর্ক থেকেছে আমেরিকার।