Putin On Poseidon Nuclear: বুরেভেস্টনিক মিসাইলের পর এবার শত্রুকে প্রতিহত করতে আরও একটি জলযান বানিয়ে আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। নতুন কী আবিস্কার করল রাশিয়া? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
১৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে ভেসে থাকার ক্ষমতা, শত্রুর মুখের কাছে গিয়েও থেমে থাকার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বুরেভেস্টনিক মিসাইলের পর এবার শত্রুকে প্রতিহত করতে নতুন একটি ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালালো রাশিয়া। রুশ সংবাদ মাধ্যমের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পুতিনের 'পোসাডাইন' সাবমেরিন সমুদ্রের গভীরে গিয়ে প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে সক্ষম। বিশেষ এই জলযান নিয়ে বুধবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
25
আমেরিকাকে তাক লাগাল রাশিয়া
এই বিষয়ে আমেরিকাকে কটাক্ষ করে বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুতিন জানান, নতুন এই স্বয়ংক্রিয় মনুষ্যবিহীন সাবমার্সিবল যান সমুদ্রের গভীরে গিয়ে শত্রুকে আক্রমণ করতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, ‘’পরমাণু শক্তিচালিত স্বয়ংক্রিয় মনুষ্যবিহীন সাবমার্সিবল যান ‘পোসাইডন’ পরীক্ষায় সফল হয়েছে।''
35
'পোসাইডন' সাবমেরিন নিয়ে কী বললেন পুতিন?
বুধবার মস্কোর একটি সামরিক হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাশিয়ার শাসক ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, ‘’পোসাইডন ড্রোনটি একটি ডুবোজাহাজ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজের ১০০ ভাগ ছোট পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্বারা চালিত হয় এই ড্রোন। যা সমুদ্রের অতলে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম।''
শুধু পোসেডাইন সাবমেরিনই নয়। মঙ্গলবারই বুরেভেস্টনিক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়া। যা একটানা আকাশে ১৫ ঘন্টা ভেসে থাকার ক্ষমতা রাখে। এমনকি ১৪ হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে শত্রুর ডেরায় গিয়ে শত্রুকে প্রতিহত করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, চূড়ান্ত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আকাশেই ঘুরপাক খায় এই মিসাইল। নির্দেশ পাওয়ার সাত মিনিটের মধ্যেই আক্রমণ করে এই বুরেভেস্টনিক। যা আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
55
চাপ বাড়ছে ইউক্রেনের
এদিকে রাশিয়ার একের পর এক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে নতুন সাবমেরিনের আবিস্কারে নিঃসন্দেহে রাতের ঘুম উড়েছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমি দুনিয়ার উপর চাপ বাড়াতেই রাশিয়া যে এই সমস্ত নতুন নতুন মিসাইল আনছে তা বলাই বাহুল্য। শুধু তাই নয়, নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে আরও নতুন, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কাজও শুরু করে দিয়েছে মস্কো।