করোনা সংক্রমিত কে, ভাই-এর বদলে দাদাকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে

  • করোনা চিকিৎসায় বিভ্রাট
  • ভাই-এর বদলে দাদাকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে
  • স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা
  • ঝাড়গ্রামের ঘটনা

Asianet News Bangla | Published : May 16, 2020 3:56 PM IST / Updated: May 17 2020, 09:49 PM IST

শাাহাজান আলি, মেদিনীপুর: ভাই না দাদা, কে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন? নাম বিভ্রাটে বিড়ম্বনায় পড়লেন স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা। তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামে।

আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের লোকালয়ে ঢুকতে বাধা, জঙ্গলে তাঁবু খাটিয়ে শুরু কোয়ারান্টাইন

ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দূরত্ব আট কিমি। স্থানীয় একটি গ্রাম থেকে ওড়িশার সম্বলপুরে সোনার দোকানে কাজ করতেন বছর বাইশের এক তরুণ। দাদার কাছে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েন ওই তরুণের ভাই। তাঁর বয়স আঠেরো বছর। শেষপর্যন্ত ৭ মে বহু কষ্টে বাড়িতে ফেরেন দু'জনই। জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যখন প্রথম সোয়ার বা লালারস নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন দাদা ও  ভাই। দ্বিতীয়বার যখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, তখনই ঘটে বিপত্তি। জানা যায়, আঠেরো বছরের তরুণ করোনায় আক্রান্ত। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যুবককে বাড়ি থেকে তুলে আনেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁকে ভর্তি করা হয় পূর্ব মেদিনীপুরের বড়মা হাসপাতালে। 

আরও পড়ুন: একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত ৪২ জন, প্রশাসনের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল হাওড়ার বস্তি

আরও পড়ুন: বাংলায় ফিরতে মরিয়া অভিবাসী শ্রমিকরা, মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ১২০ জন, নয়ডা থেকে হাঁটছেন ২৩ জন

যাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাঁকেই কি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে? নাম বিভ্রাটে ভাইয়ের বদলে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা দাদাকে বাড়িতে থেকে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জানা গিয়েছে, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বৃহস্পতিবার যখন ফের পুলিশ নিয়ে গ্রামে যান স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা, তখন তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভে দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, ফিরে আসতে বাধ্য হন তাঁরা। 

Share this article
click me!