এসএসসি গ্রুপ সি-তে ৩৮১ জন বিনা পরীক্ষায় নিয়োগ পেয়েছেন। সিবিআই-কে জমা করা রিপোর্টে জানিয়েছে মামলাকারীরা। প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের যে কমিটি ছিল, সেই কমিটির রিপোর্ট পুরোটাই খতিয়ে দেখেছিল সিবিআই তদন্তকারীর দল।
এসএসসি গ্রুপ সি-তে ৩৮১ জন বিনা পরীক্ষায় নিয়োগ পেয়েছেন। সিবিআই-কে জমা করা রিপোর্টে জানিয়েছে মামলাকারীরা। প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের যে কমিটি ছিল, সেই কমিটির রিপোর্ট পুরোটাই খতিয়ে দেখেছিল সিবিআই তদন্তকারীর দল। এবং এসএসসি-র অফিস থেকেও চাঞল্যকর তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে। এসএস দফতর থেকে ১০ টি হার্ড ডিস্ক ইতিমধ্যেই বার করে এনেছে সিবিআই। হার্ড ডিস্ক থেকে তথ্য় উঠে এসেছে, একবারেই ভুয়োভাবে এসএসসি গ্রুপ সি-তে ৩৮১ জনের নিয়োগ হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বর্তমান শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের নাম জড়িয়েছে। এদিকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বর্তমান শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে একাধিকবার তলবও সেরে ফেলেছেন সিবিআই। যদিও সেই তলবের তালিকায় এখনও আসেননি ব্রাত্য বসু। ইতিমধ্য়েই হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমান শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের এসএসসি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে হাতে বিস্ফোরক তথ্যে ভরা একের পর এক হার্ড ডিস্ক। এসএসসি দফতর থেকে খুঁজে একাধিক হার্ড ডিস্ক বার করে এনেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এসএসসি গ্রুপ সি-তে ৩৮১ জন বিনা পরীক্ষায় নিয়োগ পেয়েছেন। সিবিআই-কে জমা করা রিপোর্টে জানিয়েছে মামলাকারীরা। আর এবার সেই তথ্য় ধরেই তৎকালীন যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদেরকেও একে একে আগামীদিনে ডেকে পাঠাতে পারে সিবিআই।
আরও পড়ুন, বিচারপতিদেরকে নিয়ে মন্তব্যের জের, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে
আরও পড়ুন, আজই কি অর্জুন পুত্রের তৃণমূল যোগ ? শ্যামনগরে অভিষেকের সভা ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
সোমবার এসএসসি দুর্নীতি মামলাকারীদের ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। দুর্নীতির আরও বেশ সূত্র বের করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।এদিন মামলাকারী অনিন্দিতা বেরা, দীপঙ্কর মান্না, মিলন দাস আসেন সিবিআই দফতরে। অ্য়াডমিট কার্ড সহ- নিয়ে আসেন এই মামলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নথি। তবে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ নিয়ে যিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই ববিতা এদিন সিবিআই অফিসে আসতে পারেননি। প্রসঙ্গত, কোচবিহারের ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। তিনি ৪৩ মাস চাকরি করেছেন। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় শিক্ষাদফতর প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ, মেধা তালিকায় না থেকেও মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন।এনিয়ে ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। ববিতার দাবি, তাঁর থেকে কম নাম্বার ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সালে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি পেয়ে যান অঙ্কিতা অধিকারী। এরপরেই প্রতিবাদে নামে ববিতা। এনিয়ে সব দিকই খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
আরও পড়ুন, 'সীমা ছাড়িয়েছেন সাংসদ', নাম না করে অভিষেককে তোপ ধনখড়ের