১৯এ বালিগঞ্জ প্লেসে বোমাবাজি (Bombing) করা হয় বলে অভিযোগ। সুব্রত মুধোপাধ্যায়ের ভাগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে গুন্ডামি ও বোমাবাজি চলছে। তাকে যাতে ভোট না দেওয়া হয়, সেই নিয়ে চক্রান্ত চলছে।
আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শুরু হলে ভোটগ্রহণ (Election) পর্ব। তার আগে উত্তপ্ত হল ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড। ঝগড়া-অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড। সেখানে নির্দল প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে অশান্তি বাঁধে। ১৯এ বালিগঞ্জ প্লেসে বোমাবাজি (Bombing) করা হয় বলে অভিযোগ। সুব্রত মুধোপাধ্যায়ের ভাগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে গুন্ডামি ও বোমাবাজি চলছে। তাকে যাতে ভোট না দেওয়া হয়, সেই নিয়ে চক্রান্ত চলছে। শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতিরা এই সকল কান্ড ঘটিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
এদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তৃণমূল প্রার্থীতালিকা (List) প্রকাশ পায়। তখন দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাগ্নিকে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু, হঠাৎই এই সিদ্ধান্তের বদল হয়। তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের থেকে প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁর বলে প্রার্থী করা হয় সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে। এই নিয়ে সুদর্শনা ও তনিমার মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। পরে, তনিমা চট্টোপাধ্যায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান।
শুক্রবার তনিমা চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁর ভোট না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে উষ্কে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী, কলকাতায় তার ওয়ার্ডে বোমাবাজির অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দুটি বোমা ছোঁড়া হয় তাঁর ওয়ার্ডে। তবে, তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় বলেন, তারা নিজেরাই বোমা ছুঁড়েছেন। দক্ষিণ কলতাতার তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার জানান, বোমা পড়ার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ-প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। যাতে ভোটারকা ভোট দিতে পারে। আজ কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Election)-র ভোট হবে, ১৪৪টি ওয়ার্ডে। এই ১৮৮টি ওয়ার্ডের মোট প্রার্থী ৯৫০ জন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ৩৯ ওয়ার্ডে ও কম প্রার্থী ১৪২ নম্বর ওয়ার্ডে। শহরে ৪,৯৫৯টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। সবচেয়ে বেশি ভোটার ৯৫,০৩৮ জন। ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। আর সব চেয়ে কম ভোটার ১০,০৩৩জন। ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে। বুথ ও তার বাইরে নিরাপত্তার জন্য থাকছেন ২৩ হাজার নিরাপত্তা বাহিনী। থাকছেন, কলকাতা পুলিশের (Police) ১৮ হাজার কর্মী। রাজ্য পুলিশের ৫ হাজার কর্মী। ডিসি থাকবেন ১৮ জন। এদিকে, ২০০ জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। সেখানে থাকবেন সার্জেন্টরা। থাকবেন ৭৮টি ক্লাস্টার মোবাইল ও কুইক রেসপন্স টিম। এই টিমে থাকবেন চার জন কর্মী।