জোড়়াবাগান পুলিশ ট্রাফিক গার্ডে ভূতের ভয়ে ঘুম উড়েছে সবার, তদন্তে নামলেন খোদ গোয়েন্দারাই


জোড়়াবাগান পুলিশ ট্রাফিক গার্ডে ভূতের উপদ্রব।পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের নিয়ে রীতিমতো ভূত বিষয়ে মিটিং বসেছে খাস লালবাজারে।
 

জোড়়াবাগান পুলিশ ট্রাফিক গার্ডে ভূতের উপদ্রব। না তবে 'বিকেলে ভোরের ফুল'-র উত্তমকুমারের মতো কেউ বলেনি,হাতটা বার করে, ' দেখুন তো এরকম কিনা।' নেই বাংলা ছবি কুহেলি-র 'কে জেগে আছো' বলে কোনও বুক ছমছমে করা পায়ের আওয়াজ। তবে কিনা জুটেছে গালে সপাটে চড়। এমনই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা শোনালেন রিজেন্ট পার্ক ট্রাফিক গার্ডে বদলি হওয়া এক সার্জেন্ট।

Latest Videos

আরও পড়ুন, ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস, ঘোষণা অধীরের

 জোড়়াবাগানে পুলিশের ট্রাফিক গার্ডে ভূতের জ্বালাতনের ঠেলায় মূর্ছা যাবার জোগাড় অনেকেরই। ঘুম তো দূরহস্ত, জেগে কাটাচ্ছে ক্লান্ত পুলিশের দল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে গোয়েন্দাবাহিনীর শরণাপন্ন হতে হয়েছে। এদিকে রিজেন্ট পার্ক ট্রাফিক গার্ডে বদলি হওয়া এক সার্জেন্ট বলেছেন,  'একটা রাতই আমি কাটিয়েছিলাম জোড়াবাগান গার্ডের ব্যারাকে। মধ্যরাতে গালে সপাটে চড় খেয়ে ঘুম ভেঙে গেলে। অথচ কেউ কোথাও নেই। ঘাড় মটকায়নি এই রক্ষে।'  যদিও দুঃখ্যের বিষয় এই যে টানা দুই রাতে কাটিয়েও কোনও ভূতের দর্শন পাননি গোয়েন্দারা। তবে ভূত না হলেও নকশালের ভয়ে একটা সময় এই বাড়ি থেকে পালিয়ে বেঁচেছিল রায় পরিবার।

"

আরও পড়ুন, Tripura: 'তথ্য প্রমাণ সহ গ্রেপ্তার করাবো', গরু পাচার ইস্যুতে TMC-কে হুমকি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, শোভাবাজার স্ট্রিটে জোড়়াবাগান পুলিশ ট্রাফিক গার্ড। উত্তর কলকাতার মধ্য়ে সাবেকি আভিজাত্য়ে যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। মূলত নকশাল আমলে ১৯৭১ থেকে ৭২ সালের থেকেই রায়বাড়ির শরিকদের থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন লালবাজারের কর্তারা।  রায়বাড়ির ছেলে পুলিশের গার্ডের বাড়িওয়ালা কৃষ্ণনাথ রায় থাকেন লি রোডে। তিনি বলেছেন এই বাড়ি বাবার ঠাকুরদা জানকীনাথ রায়ের সময়ে তৈরি হয়েছে।নকশাল আমলে উত্তর কলকাতা থাকা যাচ্ছিল না বলেই আমরা বাড়িটা ভাড়া দিয়ে পালাই। তখন আমার তিন-চার বছর বয়েস। কাকা এখনও বেঁচে। বাড়িটায় ভূতের উপদ্রব তো আগে শুনিনি।' কলকাতার এক উঁচুতলার ট্রাফিক কর্তা জানিয়েছেন,' ভূতের গল্প আগে শোনা যায়নি। এসব দুই তিন বছরের ব্যাপার।'

আরও পড়ুন, COVID 19: শুধু কলকাতাতেই কোভিডে একদিনে আক্রান্ত ১০৫, মৃত্যু ৪ জেলায়

তবে জোড়াবাগানের ভূত সন্ধানিদের মধ্য়ে এক দম্পতি দেবরাজ সান্য়াল এবং ইশিতা দাস সান্যালের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন আবার আরও বড় বিচিত্র কথা। দেবরাজ বলেছেন, ভূত থাকা না থাকাটা বিষয়া আমরা খোলা মনে দেখি। ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড জরিপ করার যন্ত্র দিয়ে অনেক সময়ে অশরীরির উপস্থিতি ধরা পড়তেও পারে।   মনে হচ্ছে, ওই বাড়ির ছাদে মোবাইলের টাওয়ারের বিকীরণে পুলিশের লোকেরা কিছু ভুল বুঝতে পারেন। ব্যারাকের উপরেই তো আসলে টাওয়ার।কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেছেন, বিষয়টা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার  তন্ময় রায়চৌধুরী দেখছিলেন।' তবে তিনি তার দিকে থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।  মুখ বন্ধ রেখেছেন ডিসি ট্রাফিক সার্জেন্ট অরিজিৎ সিংহের। পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের নিয়ে রীতিমতো ভূত বিষয়ে রীতিমতো ঘটা করে মিটিং বসেছে খাস লালবাজারে।


 

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

গভীর রাতে ধানক্ষেতে ভয়াবহ দৃশ্য! শিউরে উঠবেন আপনিও, আতঙ্কে গোটা Jaynagar, দেখুন | South 24 Parganas
প্রয়াগে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান সারলেন যোগী আদিত্যনাথ | CM Yogi | Prayagraj | Mahakumbh 2025 |
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এ কী করলো নাবালিকার সঙ্গে! চমকে যাবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Nabadwip-এ | Nadia
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury