'যিনি আমাকে হারানোর চেষ্টা চালিয়েছেন, এখন আমি তাঁরও বিধায়ক', শপথ নিতে এসে খোঁচা বাবুলের

'যিনি আমাকে হারানোর চেষ্টা চালিয়েছেন, এখন আমি তারও বিধায়ক', বুধবার বিধানসভায় কাউন্সিল চেম্বারে বালিগঞ্জ বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়।  

Web Desk - ANB | Published : May 11, 2022 12:31 PM IST

বুধবার বিধানসভায় কাউন্সিল চেম্বারে বালিগঞ্জ বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়,  বাবুলকে শপথ বাক্য পাঠছ করালেন।  উল্লেখ্য, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে খালি হয়ে গিয়েছিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি। তারপর সেই উপনির্বাচবে তৃণমূল প্রার্থী হন বাবুল সুপ্রিয়।আর এবার ভোটে জিতে এবার বিধায়ক হয়েছেন, আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বিধানসভার স্পিকার যাতে নব নির্বাচিত বিধায়ককে দিয়ে কাজ করাতে পারেন, সেই সংক্রান্ত ফাইল পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। কিন্তু ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তারপর আটকে গিয়েছিল বাবুলের শপথ বাক্য। তবে দীর্ঘ জটিলতা শেষ এদিন  বিধানসভায় কাউন্সিল চেম্বারে বালিগঞ্জ বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়।

এদিন বাবুল বলেন, 'সাংসদ হিসেবে আমার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসানসোল লোকসভায় দ্বিতীয়বার জেতাটাই হল আমার রিপোর্ট কার্ড। মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাই দ্বিতীয়বার আমি তিনগুন ভোটে জিতেছি। নো ভোট ফর বাবুল বলে ক্যাম্পেন চালিয়েছে। যিনি আমাকে হারানোর চেষ্টা চালিয়েছেন, এখন আমি তারও বিধায়ক। আসানসোলে তিন দিন গিয়েছিলাম। শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে ভাল পরিচয় রয়েছে। ওখানকার মানুষ বিজেপিকে ভোট না দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে।দল ছেড়ে দিলেও এমপি, এমএলএ পদ অনেকেই ছাড়েন না। তার অনেক উদাহরণ বিধানসভাতেও আছে। আসানসোলের মানুষের জন্য যা যা করেছিলাম, তা সবাই মনে রাখবেন। আমি তো রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলাম, তারপরেও ভবানীপুরে আমার নাম রাখা হয়েছিল। দিদিকে ধন্যবাদ। উনি জানিয়েছিলেন, বাবুলের প্রতি অন্যায় হয়েছে। ৮ বছর মন্ত্রী থাকার পরেও পদন্নোতি হয়নি। কোনও কাজ করিনি আণা, সেটা দেখাক। পার্লামেন্টে সব প্রশ্নের উত্তর দিতাম। আমার মনে হচ্ছে কোথাও বাঙালির প্রতি অন্যায় হয়েছে। বালিগঞ্জের একটা বড় বিধানসভা আছে। চাপ বিষয়টাকে আমি চিরকাল আনন্দ করি।'

আরও পড়ুন, ফিরহাদের বাড়িতে এবার প্রসেনজিৎ, সৌরভ জল্পনার পর জল কোন দিকে ? কী বললেন মেয়র

প্রসঙ্গত,  বাবুলের শপথ ইস্যুতে বহু জল ঘোলা হয় রাজ্যে। অধ্যক্ষকে কার্যত ঘুরিয়ে পৃথক পথে হাঁটেন রাজ্যপাল। বিধানসভার তিনবারের অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে পাশ কাটিয়ে উপাধক্ষ আশিষ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে বাবুূলের শপথ পড়ানোর ক্ষমতা দেন।  টুইট করে নিজের সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।  টুইট করে রাজ্যপাল লেখেন, 'ভারতের সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমার ক্ষমতা ভিত্তিতে, উপাদক্ষ আশীষ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আমি দায়িত্ব দিলাম। তার কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ১৬১ নম্বর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় শপথ গ্রহণ করবেন।' এর আগে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ তিন বিধায়কের শপথ পড়ানোর ক্ষেত্রে ঠিক একইভাবে উপাদক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সরকারের তরফে তা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়।

আরও পড়ুন, দুপুর পেরোতেই আকাশ ঢাকল কালো মেঘে, ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি কলকাতা-সহ রাজ্যে

আরও পড়ুন, 'দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি নয়', শাহ-র ডোজের পরেই ঘূর্ণিঝড়ে মমতার সরকারকে সাহায্য বার্তা শুভেন্দুর

Share this article
click me!