সংক্ষিপ্ত
'দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি নয়', ঘূর্ণীঝড় মোকাবিলায় সরকারকে সাহায্য বার্তা শুভেন্দুর। ঘূর্ণীঝড় অশনি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,'আমরা শেলটার খুলব। শুকনো খাবার , রান্না করা খাবার দেব।'
'দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি নয়', ঘূর্ণীঝড় মোকাবিলায় সরকারকে সাহায্য বার্তা শুভেন্দুর। উল্লেখ্য, শনিবার শক্তিশালী ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। যার জেরে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মেনে ইতিমধ্যেই প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার থেকেই আরও জোরে বৃষ্টি পূর্বাভাস দুই ২৪ পরগণা-সহ শুভেন্দু খাস তালুকে। আমফানের শিক্ষা নিয়েই সব দিকে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। তবুও দুর্যোগ নিয়ে যেনও কোনও মতেই রাজনীতি না হয়, নাম না করলেও মমতার সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঘূর্ণীঝড় অশনি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,'এগুলোতে রাজনীতির জায়গা নেই। এখানে সরকার, প্রশাসন, ডিজদাস্টার ম্যানেজমেন্ট, যে ব্যবস্থা নেবে, তাতে বিজেপির কর্মী ও জনগণ সাহায্য করবে। আমাদের কিছু নিজস্ব শেল্টার রয়েছে। আমফান, যশের সময় আমরা সেই শেল্টার চালিয়েছি। সেখানেই আমরা শেলটার খুলব। শুকনো খাবার , রান্না করা খাবার দেব। জেনারেটর থাকবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে কোনও রাজনীতি করা উচিত নয়।'
আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে বৃষ্টি শুরু, প্রবল বর্ষণে ভাসতে চলছে কি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শনিবার শক্তিশালী ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতায় অশনির তেমন একটা প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সোমবার শহরে হালকা বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার শহরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সোমবার সন্ধ্যের মধ্যে মৎসজীবীদের সমুদ্র থেকে ফেরার নির্দেশ। মঙ্গলবার ১০ মে থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।একইভাবে দীঘা,মন্দারমণী সমুদ্রতটে যেতে পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। প্রস্তুত এনডিআরএফ-র ১৭ টি টিম। রাজ্যে সাইক্লোন মোকাবিলার জন্য কলকাতাতেই ওই ১৭ টি টিম সজাগ রয়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছে নবান্নকে।বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাশাসকরা রিকুইজিশন করবেন এনডিআরএফর টিম গুলিকে। কারণ এমনটাই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে।প্রয়োজন মতো রবিবারের পর থেকেই রিকুইজিশন করবেন জেলা শাসকরা।দরকারে নির্দিষ্ট কোন সেন্টারে বা কোন পয়েন্টে ডেকে রাখতে পারেন এনডিআরএফকে।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড়ের জের, ভাঙন না রুখলে বিলীন হবে কপিল মুনির আশ্রম, হারাবে সুপ্রাচীন গঙ্গাসাগর
প্রসঙ্গত, দুই দিন আগেই রাজ্যে আসেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে শুভেন্দু-সুকান্ত বাংলার সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য শাহকে ৩৫৬ ধারার কথা বলেছিলেন। যার পরিবর্তে অমিত শাহ অত্যন্ত রুষ্ট হয়ে বলেছিলেন,'ওনাকে (মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়) দেখে লড়াই শিখুন। আত্মনির্ভরতা বাডা়ন। কেন্দ্রীয় সরকার এমন কিছু কাজ করতে পারে না। একজন সাংসদ থেকে আজ কোথায় নিজে এবং নিজের দলকে পৌছে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। লড়াই-আন্দোলন করুন।'