'বিষ ছড়ানো নেতারা ঘরে', কাশ্মীর নিয়ে দিদিকে পাল্টা বাবুলের

  • কাশ্মীরের শান্তি নিয়ে প্রশ্ন করায় তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা
  • মমতাকে টুইটারে আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়
  • কাশ্মীরের বিষ ছড়ানো নেতারা ঘরে
  • এটা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ভালো করেই জানেন 

Tapas Dutta | Published : Jan 16, 2020 4:00 AM IST / Updated: Jan 16 2020, 09:34 AM IST

কাশ্মীরের শান্তি নিয়ে প্রশ্ন করায় এবার তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করল বিজেপি। টুইটারে বিজেপির  আসানসোলের  সাংসদ লিখেছেন, কাশ্মীরের বিষ ছড়ানো নেতারা ঘরে, তাই কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এটা উত্তেজনা ছড়িয়ে সরকারি সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ভালো করেই জানেন। 

'ভেবেচিন্তেই গুলি মারার নিদান', বিতর্কের মাঝেও নিজের অবস্থান অনড় দিলীপ

সম্প্রতি একটি  সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, 'কাশ্মীরের পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয়ে থাকে তাহলে ওখানকার নেতারা কেন গৃহবন্দি? আমি নিজেও মুখ্য়মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী হিসাবে ওখানকার নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। ফারুক আবদুল্লার  মতো ৮৫ বছরের নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এরপরও কেন্দ্রীয় সরকার বলছে,কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। উপত্যকায় শান্তি সৃষ্টি করতে সরকারের উচিত সব দলের সঙ্গে কথা বলে এগোনো। 'জোর করে কিছু করা যায় না। এ তে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়।

বিশিষ্টরা 'ননসেন্স, নেমক হারাম', সব্যসাচী- ধৃতিমানদের বেলাগাম আক্রমণ দিলীপের

তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্য়  নিয়েই মুখ খোলেন রাজ্য় বিজেপির  অন্য়তম 'পোস্টার বয়' বাবুল সুপ্রিয়। টুইটারে তৃণমূল নেত্রীকে বাবুল বলেন, 'কাশ্মীরের বিষ ছড়ানো নেতাদের ই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এমন একজন নেত্রী যিনি জনতাকে উস্কানি দেন। পরে উত্তেজিত জনতা সরকারি  সম্পত্তি ধ্বংস করলে ছোট ঘটনা বলেন, তিনিও জানেন কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।'

স্বস্তিকাদের 'কাগজ আমরা দেখাব না'র পাল্টা, 'কাগজ কেউ চাইবেই না' বাবুলের

দেশের রাজনৈতিক চিত্র বলছে, গত চার মাসে কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিকের পথে। ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও কিছু জায়গায়  তাঁর ব্য়তিক্রম রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বেশ কিছু কোম্পানি সুরক্ষাবাহিনী উপত্যকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে না এগোলে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না  বলে মনে করছেন দিল্লির রাজনীতির কারবারীরা। 

মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পথে নামেন বিরোধীরা। সিদ্ধান্ত হয় কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে যাবেন বিরোধীরা।  পরে কাশ্মীরের বিমানবন্দর নামলেই বিরোধী নেতাদের ফেরত পাঠানো হয়। সরকারের তরফে বলা হয়, এই রকম একটা আবহাওয়ায় উপত্যকায় গেলে পরিস্থিতি আরও বিগড়াতে পারে। যা নিয়ে আন্তজার্তিক স্তরে কূটনীতি করবে পাকিস্তান। 'শ্ত্রু দেশ'কে এই সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।   
 

Share this article
click me!