পর্ণশ্রীর মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের ১৩৯ ডি/৪ নম্বর যে বাড়িটি তা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এখানেই এতদিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন রত্না দেবী।
দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে পুরভোটের(Municipality Vote,) উত্তাপ। এদিকে তার মধ্যেও শোভন-বৈশাখী রসায়ন পাচ্ছে এক অন্যমাত্রা। খানিক ‘সিনেম্যাটিক স্টাইলেই’ এগোচ্ছে দৃশ্যপট। না দু বার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে কলকাতার মেয়র(Kolkata mayor) হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়(Sovan Chatterjee)। সহজ কথায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এলাকা হিসাবেই পরিচিত ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডেই এবার তৃণমূলের(Trinamool) টিকিট পেয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়(Ratna Chatterjee)। এদিকে পর্ণশ্রীর(Behala Parnashree) মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের ১৩৯ ডি/৪ নম্বর যে বাড়িটি তা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। এখানেই এতদিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতেন রত্না দেবী। কিন্তু এই বাড়ির ভবিষ্যতই এখন বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আর্থিক অবস্থা নাকি অত্যন্ত খারাপ। তাই তিনি ওই বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। বিক্রি করেছেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। বৈশাখী দেবী আবার ওই বাড়ি কিনেছেন এক কোটি টাকা দিয়ে। যদিও শুরুতে এই বাড়ি বিক্রির বাস্তবতা নিয়ে রত্না দেবী সরাসরি কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, “বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এই বাড়ি কোটি টাকায় কিনে থাকেন, তা হলে এ বাড়ির মালিক এখন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রমাণ আমাকে দেখাতে হবে।”এবার পুরভোটের মুখেই তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে দিলেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। বাড়িটি তিনি কিনে নিয়েছেন বলে নোটিসে স্পষ্ট দাবি করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
আৎও পড়ুন- রেলের সাইট হ্যাক করে ট্রেনের টিকিট জাল, বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস RPF-র
এদিকে দলের সঙ্গে শোভনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের সব কাজকর্মের তদারকি করতেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) সামনে এবার প্রকৃত পক্ষে ভোটে জিতে কাউন্সিলর হওয়ার হাতছানি। কিন্তু তার মুখেই যদি এলাকার বাড়ি তাঁকে ছাড়তে হয় তবে তা তার জন্য যে খানিক দুশ্চিন্তার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আগে খানিক রাগাণ্বিত দেখালেও বর্তমানে আইনি নোটিশ পাওয়ার পর খানিক হালকা চলেই বললেন, “আমি লোটাকম্বল গুছিয়েই রেখেছি। ভোটটা হলেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাব।” এদিকে বর্তমানে বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। তবে কাগজে কলমে এখনও তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। এমতাবস্থায় বাড়ি বিক্রি হওয়া নিয়ে যে তর্জা চলছে তিলোত্তমার বুকে তা যে শাসক দলেরও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।