ভবানীপুরের সঙ্গে সমশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনেও বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ হবে। সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ছাড়াও তিনটি বিধানসভা আসনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিআরপিএফ, বিএসএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ ও ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। রাত পোহালেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Bhabanipur bypoll)। রাজ্যের সঙ্গে গোটা দেশের নজর রয়েছে এই কেন্দ্রের দিকে। এই কেন্দ্রের জয়ের হাসিল করতে পারলে পরপর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড করতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই কেন্দ্রের তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আর সিপিএন শ্রীজীব বিশ্বাস। ভবানীপুরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শুধু রাজ্য প্রশাসন নয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছেও চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই প্রতিটি বুথের বাইরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্তি ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিস বা সিএপিএ (CAPF)।
ভবানীপুরের সঙ্গে সমশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনেও বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ হবে। সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ছাড়াও তিনটি বিধানসভা আসনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিআরপিএফ, বিএসএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ ও ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
Afghan Crisis: কাবুলের সঙ্গে বিমান পরিষেবা শুরু করুক, আবেদন জানিয়ে তালিবান মন্ত্রীর চিঠি ভারতকে
TMC: গোয়াতে উড়ছে ঘাসফুলের পতাকা, কলকাতায় এসে মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ ফালেইরোর
কে দল চালাচ্ছে কেউ জানে না, পঞ্জাবে কংগ্রেসের সংকট নিয়ে নাম না করে গান্ধীদের নিশানা সিবালের
ভবানীপুরের ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ বুথের বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ৯৭টি পোলিং সেন্টারের ২৮৭টি বুথের ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন জন করে জওয়ানের ওপর। ইভিএম নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৪১টি বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে দুটি স্ট্রংরুমও তৈরি করা হয়েছে।
উপনির্বাচন ঘিরে এমনিতেই উত্তপ্ত ছিল ভবানীপুর। তবে ভোট প্রচারের শেষ দিনে তা চরমে পৌঁছেছিল। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ প্রচারে গেলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা কর্মীরা বন্দুক উঁচিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চেষ্টা করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তারপরই কমিশন জানিয়েছেন ভবানীপুরে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। সবমিলিয়ে কড়া নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবেই নিরাচন পরিচালনা করতে চাইছে কমিশন।