ভবানীপুরে জোড়া খুনে পুলিশের জালে আরও দুই জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুজনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিশাল নামে একজনকে ভবানীপুরের গুজরাটি দম্পতিখুনের যোগসূত্রে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, খুনের সময় অকুস্থলে উপস্থিত ছিল বিশাল।
ভবানীপুরে জোড়া খুনে পুলিশের জালে আরও দুই জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুজনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিশাল নামে একজনকে ভবানীপুরের গুজরাটি দম্পতিখুনের যোগসূত্রে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, খুনের সময় অকুস্থলে উপস্থিত ছিল বিশাল। তবে এই হত্যাকাণ্ডে তাঁর কী ভূমিকা ছিল তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ্যে আনতে চায়নি তদন্তকারীর দল। তবে ভবানীপুরের জোড়া হত্যাকাণ্ডে এই গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। বাকি তিনজনের নাম হল, রত্নাকর নাথ, সুবোধ সিংহ, যতীন মেহতা।
বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠকে গ্রেফতারির খবর জানান কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল। তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সমস্য়ার জেরে খুন হতে হয়েছে গুজরাটি দম্পতিকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে দীপেশ নামে এক যুবকের কথা। তিনি এখনও অধরা। জানা গিয়েছে, দীপেশ হলেন নিহত অশোক শাহ-র মেজো জামাইয়ের বন্ধু। দীপেশ ২০১৯ সালের অশোক শাহ-র থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিছু টাকা শোধ করেছিলেন তিনি। সেই টাকা ফেরত চেয়েছিলেন অশোক শাহ। আর সেখান থেকেই শুরু হয় ঝামেলা। ভবানীপুর জোড়া খুনের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিপি বিনীত গোয়েল আগেই বলেছিলেন, 'এঘটনায় পরিচিতরা কেউ জড়িত থাকতে পারে। আমাদেরও সেরকমই মত। আমরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারব। তবে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব হবে না।'
আরও পড়ুন, জাতীয় সড়ক দখল করেছে দাঙ্গাবাজরা, অবিলম্বে সেনা নামান, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারির
অন্য দিকে বিনীত গোয়েলের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, 'তদন্ত চলাকালীন পুলিশ এর থেকে বেশি কিছু বলবে না। কারণ তদন্তের স্বার্থে সব কিছু সামনে আনা যায় না। তথ্য থাকলে তদন্তের কিছু প্রসেস থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ অবধি সব তথ্য বাইরে আনা যাবে না।আমি তো কিছু বলতে পারব না। কারণ পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নই।তবে যেদিন এঘটনা ঘটে, সেদিন রাতেও আমি এই দম্পতির ছোট মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এই নিয়ে আমার রোজ ১৫ থেকে ২০ বার কথা হচ্ছে।'
লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ এবং ফরেন্সিক বিভাগ সমানভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, ওই গুজরাটি ফ্যামিলির বাড়ির একটি দরজা বন্ধ থাকলেও অপরটি ছিল খোলা। এমনকি ঘরের মধ্য়ে টিভি চলছিল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল খাবার। একনজরে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এই ঘরেই খুন হয়েছেন ওই গুজরাটি দম্পতি অশোক শাহ এবং স্ত্রী রেশমি। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ভাল করে খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে, খুনের আগে আততায়ীর সঙ্গে রীতিমত ধস্তাধস্তি হয়েছে ওই দম্পত্তির।গোটা এলাকায় ১০০ বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তাকারীরা।
আরও পড়ুন, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের দিনেই মুম্বই গিয়ে মৃত্য়ু বাংলার ছাত্রের, শোকের ছায়া দাসপুরে