বাবুল সুপ্রিয়ের তৃণমূলে যোগ দিতেই অর্পিতা ঘোষের রাজ্যসভা থেকে ইস্তফার যোগ সাধন করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। এরপর বিতর্ক আরও উসকে দিলেন রাহুল সিনহা,পাল্টা বুমেরাংয়ের ছটা দেখালেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ।
বাবুল সুপ্রিয়ের তৃণমূলে যোগ দিতেই অর্পিতা ঘোষের রাজ্যসভা থেকে ইস্তফার যোগ সাধন করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। এরপর বিতর্ক আরও উসকে দিলেন রাহুল সিনহা। যদিও কোনও কথা কানে না নিয়ে পাল্টা বুমেরাংয়ের ছটা দেখালেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ।
শনিবার দুপুরে হঠাৎই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। এদিন বাবুল সুপ্রিয়ো বলেছেন, 'এটা তার কাছে একটা বড় সুযোগ। এবং এই সুযোগটা দিদি দিয়েছেন। পুরো ঘটনাটা তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই হয়েছে।' এহেন প্রেক্ষাপট থেকে তথ্য নিয়ে তৃণমূলের ত্রিকোণমিতি মেলালেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। প্রসঙ্গত, এই তিন থেকে চার দিনের মধ্য়েই তৃণমূলের অন্যতম শক্তিশালী নেত্রী দলের নির্দেশ পেয়ে রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গ টেনেই অনুপম হাজরা বলেছেন, 'তাঁর কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার। আমি পুরোপুরি অর্পিতা ঘোষের রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা এবং বাবুল সুপ্রিয়োর তৃণমূলের যোগদানের মধ্যে যোগাযোগ খুঁজে পাচ্ছি।' খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেছেন 'ঝালমুড়ি'-র তত্ত্ব।
আরও পড়ুন, 'রাহুল নন, মোদীর বিকল্প মুখ মমতাই', 'জাগোবাংলা'-প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
যদিও কুণাল ঘোষকে অনুপম হাজরার কথা টেনে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হলে, তিনি মোটেই পাত্তা দেননি। বরং উল্টে বলেছেন, 'আর ৬ মাস বিজেপিতে থাকুক, তারপর কথা বলব।' তিনি বরং রাহুল সিনহা বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দী বানিয়ে তোপ দেগেছেন। মূলত, বাবুলের বিজেপি ছাড়ার পরেই রাহুল সিনহা ফেরেন গত চার মাসে ঘটে যাওয়া বাবুলের বলা বক্তব্য়ে। যেখানে সারা বাংলা শুনেছিল, বাবুল সুপ্রিল বলেছিলেন, 'তৃণমূল কখনই নয়।' কোন দিনও তিনি অন্তত এই দলে যোগ দেবেন না। আর এই প্রসঙ্গ টেনেই রাহুল সিনহা বলেছেন, 'কী করে একটা দলের নাম নিয়ে সেখানে যাব না বলেও, একজন নিজের দল ছেড়ে সেই জায়গায় যেতে পারে। এটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাবার পরে হয়েছে। বাবুল সুয়োগ পাওয়ার কথা বলছেন। তার মানে তো পদকে অগ্রাধিকার দেওয়া।' কুণাল ঘোষ অবশ্য এখানে নাম না করেও শুভেন্দু প্রসঙ্গে ঘেষে গিয়ে বলেছেন, 'ভোটের আগে তৃণমূলের সবচেয়ে বেশি পদ অধিকারী একজনকে নিয়ে দলে ঢোকানোর সময় তো মনে ছিল না বিজেপির। তখন ওদের আদর্শ কোথায় ছিল', বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন, 'ভিন রাজ্যের নতুন লোককে সুযোগ দিতেই ইস্তফা অর্পিতার', বিস্ফোরক দিলীপ
অপরদিকে মমতাকে বিপুল ভোটে জয়ী করানোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নের্তৃত্বরা চুপ থেকে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেও বাবুল সরাসরি বাংলার মানুষকে ঐতিহাসিক ভূল করার কথা বলেছিলেন। আর ভোটের ফল প্রকাশের পরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব যেতেই বাবুল সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছিলেন। যদিও তখনও ঘ্রুণাক্ষরেও কেউ জানতে পারেনি ভোটের আগের বিজেপির দানের, পাল্টা দান বুম্য়েরাং হয়ে আসবে ভোটের পরেই। তবে অর্পিতা ঘোষের রাজ্যসভা থেকে ইস্তফার পর 'ভিন রাজ্য থেকে লোক আসবে' বলা কথা সত্যি হবে, নাকি অনুপম হাজরার দাবি পাবে সিলমোহরের ছাপ, তা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা