'মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন', বাংলাদেশের হিংসা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
'মুখ্যমন্ত্রী (CM ) চুপ কেন', বাংলাদেশের হিংসা কাণ্ডে (Bangladesh Violence) রাজ্য সরকারের (WB Govt) ভূমিকায় তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
আরও পড়ুন, 'প্রয়োজনে বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠাবে দিল্লি', হিংসাকাণ্ডে হুঁশিয়ারী নিথীথ-শুভেন্দুর
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেছেন, রাজ্য সরকারের ভূমিকায় আমরা মোটেও সন্তুষ্ট নই। এতবড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে, অথচ সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফ থেকে বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে আমরা কোনও বিবৃতি পায়নি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের হিংসাকাণ্ডে কেন কোনও কথাই বলছেন না বলে প্রশ্ন ছুড়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই রাজ্যের সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। অথচ বাংলাদেশের বাঙালিরা অত্যাচারিত। তাঁরা কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু চুপ করে আছে মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন, আসলে ওরা শুধু ক্ষমতায় থাকতে চায়। কোনও লক্ষ্য নেই । তবে এরকম মানসিকতা থাকলে ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই।
অপরদিকে, গতকালই বাংলাদেশের হিংসাকাণ্ডে চুপ কেন বলে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। বিজেপি কুৎসিত রাজনীতি করছে বলে অভিযোগও তোলে তৃণমূল। মূলত তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা-তে মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন ছোড়ার চব্বিশ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই পাল্টা তোপ দাগল বিজেপি। এদিন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কী কথা বলেছেন না বলেছেন , আপনারা ভবিষ্যতে ঠিক জানতে পারবেন। তিনি আরও বলেছেন, আণাদের একটি আইন সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে যাবেন। সেক্ষেত্রে তাঁর পাশ্ববর্তী দেশ, যেখানে বাঙালিরাই থাকে, সেই জায়গায় এত বড় ঘটনার পরেও কিছু বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী, এটা খুব চিন্তার বিষয় বলে আমার মনে হয়েছে।
আরও পড়ুন, Gariahat Murder Case: গড়িয়াহাট জোড়া খুনের তদন্তে এখনও অধরা আততায়ী, ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডেলকে কেন্দ্র করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লার ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের পুলিশ। কুমিল্লার হিংসার ঘটনার পরই চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ চট্টগ্রাম ও বাংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দির এলাকাতে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। তারপরেও থামেনি হিংসা। তাণ্ডবলীলা চলে বাংলাদেশের ইসকনের মন্দিরে। শনিবার নোয়াখালির চৌমুহনীতে ইসকন মন্দিরে প্রায় ৫০০ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। এরপর মন্দির সংলগ্ন পুকুরের কাছ থেকে প্রান্ত চন্দ্র নমোদাস নামের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এই হিংসার ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে এই হিংসার ঘটনার একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে