'বন্যার পর প্রচারের আলোয় আগুন, সমাধানের কোনও ইচ্ছে নেই,' কলুটোলাস্ট্রীট অগ্নিকাণ্ডে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে আগুন লাগার পরেও এখনও ওই বাড়িতে চারটি পরিবার বসবাস করছে, সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ।
'বন্যার (Flood) পর প্রচারের আলোয় আগুন (Fire), সমাধানের কোনও ইচ্ছে নেই,' কলুটোলাস্ট্রীট (Kolutola Street Fire Incident) অগ্নিকাণ্ডে মমতার সরকারকে (Mamata Banerjee Govt)তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিকে আগুন লাগার পরেও এখনও ওই বাড়িতে চারটি পরিবার বসবাস করছে। আগুন লাগার পরে তাঁদের সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, 'জাকির ভাল ছেলে বলে কংগ্রেসের লোকেরাও ভোট দিয়েছেন', মমতাকে তোপ দাগতে গিয়ে বিস্ফোরক অধীর
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ' একটা আগুন লাগবে, একমাস ধরে চর্চা চলবে। বড় কোনও ঘটনা ঘটলে আলোচনা হবেই। তারপর সবাই ভূলে যাবে। কিন্তু স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এরপরে তিনি আরও বলেন, কলকাতা আসলে জতুগৃহ। যখনই আগুন আসে, প্রচারের আলোয় আসে। দেখুন দুমাস ধরে বন্যা চলছে, এবার আবার আগুন। পশ্চিমবাংলার বন্যাটা একশো বছরেরও পুরোনও। বৃষ্টি শুরু হলেই বন্যা হয়ে যায়। এদিকে তিত্রশ-চল্লিশ বছর ধরে আবার বস্তি-বাজার পুড়ছে। কোনওটাই সমাধানের ইচ্ছে নেই কারো। অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই। কেউ নো অবজেকশন নিয়েছে কিনা, তারও কোনও খবর নেই', বলে মমতার সরকারকে তোপ দিলীপের।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে শহরের ব্যস্ততম এলাকা কলুটোলা স্ট্রিটে বাগরি মার্কেটের কাছে একটি বহুতলে ভয়াবহ আগুন লাগে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো অসুবিদার মুখে পড়ে যান দলকল কর্মীরা। মুহূর্তেই ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ওই বহুতলের ভিতরে থাকা দাহ্য পদার্থের থেকেই আগুন ক্রমশ বড় আকার ধারণ করে বলে দাবি দমকল কর্তৃপক্ষের। বহুতলের ভিতরে একাধিক গোডাউন, দোকান ও কারখানা রয়েছে এবং ওই বহুতলের পিছনেই অসংখ্য পরিবার বসবাস করেন। তাই আগুনের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয় এলাকায়। যেহেতু ওই এলাকা ঘনজনবসতি পূর্ণ, তাই অগ্নিকাণ্ড আরও ভয়াবহ হতে পারত।
আরও পড়ুন, Covid-19: কোভিড সংক্রমণ কমল রাজ্যে, এখনও শীর্ষে কলকাতা
এদিকে আগুন লাগার পরেও এখনও ওই বাড়িতে চারটি পরিবার বসবাস করছে। আগুন লাগার পরে তাঁদের সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ।অপরদিকে এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যেতেই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন, বাসস্থান বানানোর দাবি তোলেন আবাসিকরা। তাদের সবকিছু লিখিত দিতে হবে বলেও জানান তারাঁ। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। এরপর শেষ অবধি পুলিশ এসে তাঁদেরকে বের করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মালিকপক্ষ।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা