'সরকারের কোনও দায়িত্ব নেই', জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রাজ্যে একাধিক মৃত্যুতে ধিক্কার দিলীপের

 'সরকারের কোনও দায়িত্ব নেই', জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রাজ্যে একাধিক মৃত্যুতে  মমতার সরকারকে  ধিক্কার জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সিন্ডিকেট প্রমোটিংকে দায়ী করেন তিনি।

Asianet News Bangla | Published : Sep 25, 2021 7:17 AM IST / Updated: Sep 25 2021, 12:58 PM IST

 'সরকারের কোনও দায়িত্ব নেই', জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট ( Electrocution Death issue) হয়ে রাজ্যে একাধিক মৃত্যুতে ধিক্কার জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)। উল্লেখ্য, রাত পেরোলেই আসছে ঘূর্ণীঝড় গুলাব। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল বর্ষণে ফের ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। এদিকে আগের জলই শুকোয়নি। ইতিমধ্য়েই জমা জলে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে একাধিক মৃত্যু। এই প্রসঙ্গে এদিন নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে (Mamata Banerjees Govt ) মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।

আরও পড়ুন, বঙ্গোপসাগরে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব', প্রবল বর্ষণে ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ

 দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যে ধরনের বৃষ্টি হয়েছে জল জমবে। দিনকে দিন জল বেশি জমবে। কারন ড্রেন বন্ধ পরিস্কার করা হয় না আর যত ফাঁকা জায়গা ছিল পুকুর ছিল সেগুলো বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিআইএম আমল থেকে শুরু হয়েছিল এইধরনের সিন্ডিকেট প্রমোটিং আর তাতে যত ফাঁকা জমি ছিল এমনকি খালের ওপরও বাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সেই জায়গা গুলো বিক্রি করে দিচ্ছে পাট্টা দিয়ে দিচ্ছে বেআইনি ভাবে ফলে জল বেরোবারও জায়গা নেই দাঁড়াবার জায়গা নেই। তাই একটু বেশি বৃষ্টি হলে যেখানে ফাঁকা জায়গায় রাস্তায় সর্বত্র দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

"

এরপরেই মমতাকে তোপ দেগে তিনি বলেছেন,' সরকারের কোনও দায় দায়িত্ব নেই। তাঁদের নেতাদের দায় নেই, অমানবিক ভাবে কথা বার্তা বলছেন। যারা এই লোহার পোস্ট দিয়েছিলেন যারা ত্রিফলা দিয়েছিলেন সেই পোস্ট গুলো আজকে আমাদের কাছে যমদূত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতে প্রাণহানি না হয়, সরকারের এখুনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । লোককে সতর্কও করা উচিত। এরই সঙ্গে তার রাস্তাও বের করাও উচিত, যাতে এইধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।' 

আরও পড়ুন, Mithun Chakraborty: 'এক ছোঁবলে ছবি', মিঠুনের সংলাপে অসুবিধা কী, জানতে চাইতেই হাইকোর্টে হাসির রোল

প্রসঙ্গত, টানা বর্ষণে ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ। সড়ক-রেল পরিবহনেও টানা তার প্রভাব পড়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪৭ টি ব্লক এবং ৮ টি পুরসভা জলের নীচে। প্রায় ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ জলবন্দি রয়েছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জলে ডুবে, দেওয়াল খসে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি-শস্য, গবাদি পশু। জলমগ্ন জেলাগুলিতে ৫৭৭ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সেখানে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৬০ হাজারেরও বেশি ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। যে কোনও সমস্যায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে টোল ফ্রি নাম্বার ১০৭০ তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

  আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

Share this article
click me!