'ভোটে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা', তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এদিন ফের কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। 'চুনোপুটি নেতাদের ঢিল মারলে, কষ্ট পাচ্ছেন কেন', ত্রিপুরা প্রসঙ্গে তোপ দাগলেন এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
'ভোটে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা', তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এদিন ফের কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। 'চুনোপুটি নেতাদের ঢিল মারলে, কষ্ট পাচ্ছেন কেন', ত্রিপুরা প্রসঙ্গে অভিষেককে (TMC Leader Abhishek Banerjee) তোপ দাগলেন এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (BJP Leader Dilip Ghosh)।
এদিনও নিউটানের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরোন দিলীপ ঘোষ। মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির পার্টি অফিসকে তৃণমূলের সফট টার্গেট প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা তো ভোটে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা। ক্যামেরায় মুখ দেখানো যদি টিকিট পাওয়া যায়। রবিবার সায়নী ঘোষকে ত্রিপুরায় গ্রেফতার করতেই তার প্রভাব এসে পড়ে কলকাতায়। সোমবার সকালে ৬ নং মুরলিধর সেন রোডের বিজেপির রাজ্য অফিসে মমতা এবং অভিষেকের ছবি লাগিয়ে দেয় তৃণমূল। এরপরেই পাল্টা দলীয় পতাকা নিয়ে হাজির হয় বিজেপি কর্মীরাও। বিজেপির রাজ্য অফিসে ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। পাল্টা বিজেপির তরফেও শুদ্ধিকরণ করা হয়। বিজেপি নেতাদের দাবি, তৃণমূল নেতাদের পদক্ষেপে অপবিত্র হয়েছে তাঁদের দলী অফিস, তাই শুদ্ধিকরণ দরকার। এরপরেই গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করা হয়েছে বলে জানায় গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন, Covid-19: কোভিডে সংক্রমণ কমলেও মৃত্য়ুতে শীর্ষে কলকাতা, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ৬১৫
আরও পড়ুন, Polls: দিল্লিতে শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সুকান্তর, ভোটের আগে ভাঙন রুখতে কোন পথে BJP
প্রসঙ্গত তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার রাতে প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। গাড়িতে পিছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ এবং সুদীপ রাহা। গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ার সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন আশেপাশের লোকেরা। খেলা হবে স্লোগানও দিতে থাকেন। পুলিশের তরফে অভিযোগ, ঠিক তখনই নাকি সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হন। সেই সূত্র ধরেই রবিবার তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেখানেই সমস্যার সমাধান হয়নি। এরপর সায়নীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর সায়নীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে সায়নী থানায় ঢোকার পর থেকেই ইটবৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, দমন-পীড়নের ঘটনার রোজ রেকর্ড ভাঙছে বিজেপি। এখানে পুলিশ তালা মেরে টেবিলের লুকিয়ে থাকে। সাংবাদিক মার খায়। বাংলায় এসব হয় না। এবার অভিষেকের পাল্টা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ওরা ভেবেছিল, ওটা ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ। ওর নামে কেস হওয়া উচিত। আমার উপর এত আক্রমণ হয়েছে, চুনোপুটি নেতাদের ঢিল মারলে, কষ্ট পাচ্ছেন কেন, যা ডেমো দিচ্ছে ত্রিপুরায়, খেলা শুরু হলে কী হবে জানি না বলে তোপ দেগেছেন দিলীপ।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে