Roopa Ganguly-'পশ্চিমবঙ্গের অনেক ক্ষতি করেছেন, কোনও সমবেদনা নেই', সুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক রূপা

'পশ্চিমবঙ্গের অনেক ক্ষতি করেছেন। সুবিধাবাদী। আমার কোনও সমবেদনা নেই', সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরই বিস্ফোরক টুইট করে বিতর্কে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।  

Asianet News Bangla | Published : Nov 5, 2021 2:35 AM IST / Updated: Nov 05 2021, 08:10 AM IST

'পশ্চিমবঙ্গের অনেক ক্ষতি করেছেন, আমার কোনও সমবেদনা নেই,' সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) প্রয়াণের পরই বিস্ফোরক টুইট করে বিতর্কে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। উল্লেখ্য,  এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু অবস্থার ক্রমশই অবনতি হয়।  উডবার্ন ওয়ার্ডের আইসিসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান নেতা। আর এরপরেই বিস্ফোরক পোস্ট বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের (BJP Leader Roopa Ganguly)।

আরও দেখুন, Subrata Mukherjee Live: সুব্রত-র আকস্মিক প্রয়াণ, বাকরুদ্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল 

বর্ষীয়ান নেতার মৃত্য়ুর পরই টুইটে এক পোস্টে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় দাবি জানিয়ে বলেছেন, '২০২১ বিদানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চুক্তি পছন্দ হয়নি তাঁর।' এখানেই শেষ নয় রূপার সংযোজন, 'পশ্চিমবঙ্গের অনেক ক্ষতি করেছেন। সুবিধাবাদী। আমার কোনও সমবেদনা নেই।'ফেসবুক পোস্টে প্রথমে রূপা লেখেন, 'ধ্যাৎ, সবাই যেন হঠাৎ বালিগঞ্জে একা গেল। সরি বস। 'এরপরেই তার পোস্ট ঘিরে শুরু হয় কমেন্টের বন্যা।কমেন্টের  জবাব দিতে গিয়েই আরও বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে রূপা আরও লেখেন,' পুজো জাঁকজমক করা এবং টাকা তোলা ছাড়া যার কোনও অবদান ছিল না। তাঁর জন্য আমার কোনও শ্রদ্ধা নেই । সরি বস। রূপা আরও বলেন, তিনি সুবিধাবাদী। নিজের রাজনৈতিক আদর্শও বদলে ফেলেছিলেন। এরা পশ্চিমবঙ্গের অনেক ক্ষতির কারণ।' এরপর সদ্য প্রয়াত বিজেপির কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড কোর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাস দাসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'তিস্তাকে নিয়োছো বস। কিছু তো ফেরত নেবে মা কালী। রূপার এই বিস্ফোরক বক্তব্যে ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক মহল।'

 আরও পড়ুন, Kali Puja 2021- কালীপুজোয় অ্যাপ ও গাইডলাইন প্রকাশ, দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন বারাসাতে

 প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি বাংলার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের দিন ভয়ঙ্কর দিনগুলিতে তিনি বাংলার মন্ত্রী ছিলেন। মাত্র ২৬ বছর বয়ছে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়েক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ৭২এর দিনগুলিতে তিনি রাজ্যের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। ছাত্র রাজনীতি থেকেই তাঁর উত্থান। একটা সময় বাংলার কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যোগদেন তৃণমূল কংগ্রেসে।  ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জিতে  সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার মেয়র হন। কিন্তু তারপর থেকেই বেশ কয়েকটি কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। কলকাতা পুরভোটে আদালা জোট করে  লড়াই করেন। তিনি জিতলেও তাঁর নেতৃত্বাধীন ডোট পরাজিত হয়। তারপর তিনি কংগ্রেসে ফিরে যান। কিন্তু ২০১০ সালে আবার তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। তারপর আমৃত্যু সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন। 

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

Read more Articles on
Share this article
click me!