মা হওয়ার ইচ্ছাকে মান্য়তা দিল কোর্ট, স্বামীর কাছে বদলির নির্দেশ শিক্ষিকাকে

  • স্কুল শিক্ষা দফতর বদলি করেনি
  • ৯ বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামীর সঙ্গে থাকতে  পারেননি
  • বার বার শিক্ষা দফতরে আর্জি জানিয়েও কাাজ  হয়নি
  •  শেষে বদলির  নির্দেশে মা হবার ইচ্ছাকে মান্যতা দিল কোর্ট  

Asianet News Bangla | Published : Feb 12, 2020 5:28 PM IST / Updated: Feb 19 2020, 11:59 PM IST

স্কুল শিক্ষা দফতর বদলি না করায় দীর্ঘ ৯ বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামীর সঙ্গসুখ পাননি মুর্শিদাবাদের শিক্ষিকা গার্গী রায়। মা হবার সুযোগ মেলেনি তাঁর। মাতৃত্বের প্রবল আকাঙ্খা থাকলেও সেপথে যেন 'কাঁটা' বিছিয়ে দিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। স্বপ্ন পূরণ করতে  শিক্ষিকা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। স্বামীর চাকরি স্থলের কাছাকাছি বদলি করার জন্য কোর্টে আর্জি জানান৷ মা হবার ইচ্ছাকে মান্যতা দিল কোর্ট। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ স্কুল শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন ৪ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষিকাকে স্বামীর চাকরি স্থলের  কাছাকাছি বদলি করার। 

দিল্লির জয়ে উজ্জীবিত বাংলা, সদস্য বাড়াতে কলকাতায় মিছিল আপ-এর

২০০৩ সালে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় একটি গার্লস  মাদ্রাসা স্কুলে কর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন কোচবিহারের বাসিন্দা গার্গী রায়। ২০১১ সালে আলিপুরদুয়ারের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়৷ দু'জন দুই জেলায় চাকরি করায় বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার করা হয়নি। গার্গী বিয়ের পর থেকে একাধিকবার বদলির জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু সম্মতি মেলেনি। 

পার্সিদের ধর্মীয় স্থানে অন্য় ধর্মের কেউ যেতে পারবে কি, হাইকোর্টে সওয়াল জবাবের সরাসরি সম্প্রচার

এদিকে, ৯ বছরের বিবাহিত জীবনে সন্তান না থাকায় হাঁফিয়ে উঠছিলেন শিক্ষিকা। মানসিক অবসাদও গ্রাস করছিল তাঁকে। সন্তান লাভের আশায় পরামর্শ নেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের। চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়ে দেন স্বামীর সঙ্গে থাকতে হবে ওই শিক্ষিকাকে। পাশাপাশি তাদের দুজনকে একসঙ্গে চিকিৎসাও করাতে হবে৷ তখন তিনি চিকিৎসাজনিত কারণগুলিও তুলে ধরে বদলির জন্য শিক্ষা দফতরে আবেদন করেন। তাতেও ফল মেলেনি। 

থানায় ডাকলেও গ্রেফতার নয়, সুজিত সামের মামলায় ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্বস্তিতে মকুল

মা হবার প্রবল তাগিদে গার্গী রায় এরপর বদলির জন্য মরিয়া হয়ে গত বছর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গার্গীর আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, ওই শিক্ষিকা মা হতে না পেরে মানসিক যন্ত্রনা পাচ্ছেন। আইন অনুযায়ী একজন স্কুল শিক্ষক বা শিক্ষিকা টানা ৫ বছর কোনও স্কুলে চাকরি করলে তিনি স্পেশাল গ্রাউন্ডে বদলির আবেদন করতে পারেন। মেডিকেল গ্রাউন্ডে আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য হওয়া উচিত৷ অথচ স্কুল শিক্ষা দফতর তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

Share this article
click me!