রাজ্যের পাঁচ ধর্ষণকাণ্ডের কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের, নির্যাতিতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ

রাজ্যের পাঁচ ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মামলা করেছিলেন বিজেপি আইনজীবী সুম্মিতা সাহা দত্ত।  তিনি নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ঘটনাগুলির সিবিআই তদন্তও দাবি করেন।

Saborni Mitra | Published : Apr 19, 2022 7:51 AM IST

ময়নাগুড়ি, নেত্রা, শান্তিনিকেতন, নামখানা ও পিংলা- রাজ্যের পাঁচ ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজ্যপুলিশের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে কেস ডায়েরিও। পাশাপাশি নির্যাতিতা, তাতের পরিবার ও সাক্ষীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগেই উত্তর ২৪ পরগনার দুটি, মালদা ও কলকাতার একটি করে ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তের নজরদারির ভার আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

রাজ্যের পাঁচ ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মামলা করেছিলেন বিজেপি আইনজীবী সুম্মিতা সাহা দত্ত।  তিনি নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ঘটনাগুলির সিবিআই তদন্তও দাবি করেন। পিংলা নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, তাঁরা থানা পুলিশ করার পর থেকেই তাঁর ছেলেকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুনানির সময়ই এই প্রসঙ্গটি তোলেন নির্যাতিতার মা। তারপরই প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ নির্যাতিতা, তাদের পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছেন, এই ঘটনাগুলির যথাযথ তদন্ত চলছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৬ এপ্রিল। 

এর আগে উত্তর ২৪ পরগনায় দুটি মালদা ও কলকাতায় একটি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। চারটির মধ্যে তিনটি ঘটনায় নির্যাতিতা  নাবালিকা। সেই চারটি ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের নজরদারির ভার আগেই কলকাতা হাইকোর্ট  আইপিএস দময়ন্তী সেনকে দিয়েছিল। দময়ন্তী সেন পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের  তদন্তের কিনারা করেছিলেন। বর্তমানা তিনি কলকাতা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। 

অন্যদিকে নদিয়ার ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার তদন্তের ভার আগেই হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বা সিবিআইকে দিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নিহত নির্যাতিতার মা ও বাবাকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই কর্তারা। তারা নমুনাও সংগ্রহ করেছে। তদন্তের জন্য নিহত নির্যাতিতার ডিএনএ-র ওপরই আস্থা রাখছে তারা। অন্যদিকে নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন নদিয়ায় য়ে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে তাতে কী বলা হবে - তা নিয়ে। তারপর তিনি নিজেই বলেন, 'এটিকে আপনি কি ধর্ষণ বলবেন? সেকি গর্ভাবতী ছিল? তার তো একটি ছেলের সঙ্গে লাভ অ্যাফেয়ারও ছিল ?' তারপরই তিনি বলেন তিনি পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন। যে ছেলেটির নামে অভিযোগ উঠেছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বলা ভালো যে ধৃত মূল অভিযুক্তের বাবা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা। তাঁরই নির্দেশে নিহত কিশোরীর পরিবারেরস সদস্যরা চুপ করে রয়েছে। গোটা গ্রামও চুপ করে রয়েছে তৃণমূল নেতার ভয়। এদিন মমতা সেই প্রসঙ্গও উল্লেখ করে বলেন,  'এখন সকলেই তৃণমূল কংগ্রেস করে।' মমতা আরও বলেন, ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির একটি সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে পরিবারও অবগত ছিল। তিনি আরও বলেন কারও প্রেমের সম্পর্ক তিনি আটকাতে পারবেন না। একই সঙ্গে তিনি বলেন এটা উত্তর প্রদেশ নয়। এখানে লাভ জিহাদ হয় না। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রয়েছে। তবে দোষীদের গ্রেফতার করা হবে ও শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

ভারতের নতুন সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে, হাতের তালুর মতই চেনেন চিনা সীমান্ত এলাকা

গ্রাহকরা ব্যাঙ্কে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেখে নিন, বদলে গেছে ব্যাঙ্কের কাজের সময়

বীরভূমে ঝুলন্ত দেহ ঘিরে শুরু রাজনীতি, পরিবার বলছে সম্পূর্ণ অন্যকথা

Share this article
click me!