সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়েই সোজা এসএসকেম-এ ভর্তি হলেন অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ৬ বারের হাজিরা এড়িয়ে এদিন স্বেচ্ছায় সিবিআই দফতরে এসেছিলেন অনুব্রত মন্ডল। কিন্তু তারপর হঠাৎ কী হল, যে ফের উডবার্ণে ভর্তি করা হল কেষ্টকে।
গরুপাচার মামলায় ৬ বারের হাজিরা এড়িয়ে এদিন স্বেচ্ছায় সিবিআই দফতরে এসেছিলেন অনুব্রত মন্ডল। কিন্তু সিবিআই দফতরে আসার সময় তাঁকে, বুকে হাত দেওয়া এবং কাঁধে ভর দেওয়া অবস্থায় আসতে দেখা যায়। তবে শেষঅবধি সিবিআই-র মুখোমুখি হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে প্রায় ৪ ঘন্টারও বেশি সময়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণে ভর্তি হলেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট।
৬ বারের হাজিরা এড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে এবার নিজেই চিঠি দিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তড়িঘড়ি করে জবাব দেয় নিজাম প্যালেসও। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতোই এদিন সিবিআই দফতরে হাজির হন কেষ্ট। যদিও তাঁকে সিবিআই দফতরে আসার সময় তাঁকে, বুকে হাত দেওয়া এবং কাঁধে ভর দেওয়া অবস্থায় আসতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা সিবিআই একাধিকবার তলব করলেও অসুস্থ সহ বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। তবে এবার শেষঅবধি বৃহস্পতিবার তিনি সিবিআই-র মুখোমুখি হন। এরপর ৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আর জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসতেই ফের সোজা এসএসকেম-র উডবার্ণে ভর্তি হন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। তবে কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নপর্বের খুবই অসুস্থ হয়েছেন অনুব্রত, প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন, 'আমাদের মারতে মারতে গাড়িতে তুলল পুলিশ', এসএসসিকাণ্ডে 'সেন্ট্রাল লকআপে' সজল ঘোষ
প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শেষে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইকে চিঠি দিয়ে জানান, তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি। প্রসঙ্গত, এর আগে ২৫ এপ্রিল অনুব্রত মণ্ডল চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, সিবিআই যদি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রয়োজন মনে করে, তাহলে ২১ মে-র পর সিবিআই-র কলকাতার অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত।নিজের প্যান ও আধারকার্ডের প্রতিলিপিও জমা দিয়েছিলেন তিনি।চিঠিতে অনুব্রত জানিয়েছিলেন, সেই সময় আলোচনা করে জিজ্ঞাসাবাদের স্থান চূড়ান্ত করা যেতে পারে। আর এই চিঠি দেওয়ার পরই অনুব্রতর কাছ থেকে পাসপোর্ট চায় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের আগে তিনি যাতে কোনওভাবেই দেশে ছেড়ে পালাতে না পারেন তার জন্যই তাঁর পাসপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পাসপোর্ট নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, সিবিআই সূত্রের খবর, বারবার হাজিরা এড়ানোয় পদ্ধতি মেনেই অনুব্রতর পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি তলব করা হয়। অনুব্রত মণ্ডলের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকে খোঁজ খবর শুরু করে তারা। যদিও যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে অবশেষে সিবিআই দফতরে পা রাখলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু শেষ অবধি ফের সেই এসএসকেমই ভর্তি হলেন তিনি। পরিস্থিতি কোন দিকে, এবার তা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় 'বিশ বাঁও' জলে পার্থ, 'ব্যাক্তিগত' কারণ দেখিয়ে সরল ডিভিশন বেঞ্চ