গলা ব্যথা নিয়ে নারকেলবাগানের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যু, কাঠগড়ায় ILS হাসপাতাল

  •   হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরপরই নাবালকের মৃত্যু 
  • কাঠগড়ায় নাগেরবাজারের আইএলএস হাসপাতাল
  • ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ 
  • ছেলের মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা 

Asianet News Bangla | Published : Nov 8, 2020 6:35 AM IST / Updated: Nov 08 2020, 12:08 PM IST


গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরপরই নাবালকের মৃত্যু। সূত্রের খবর, নাগেরবাজারের আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চার ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই নাবালকের। এরপরেই ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, শিশুরাই করোনার সুপার স্প্রেডার, স্কুল খোলার আগে চরম আশঙ্কা প্রকাশ করল ICMR

 

 

চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধেও ঘুমোতে পারেনি আকাশ


জানা গিয়েছে, বছর দশেকের ওই নাবালকের নাম আকাশ দাস। নারকেলবাগান এলাকার একটি স্কুলে সে ষষ্ঠ শ্রেণীতে সে পড়াশোনা করত। পরিবার সূত্রে খবর, ৪ অগাস্ট দুপুর থেকে গলায় হালকা ব্যথা অনুভব করে আকাশ। তার ৬ বছরের বোন কুসুম এবং মা মমতা দাস তালুকদারেরও একই রকম গলা ব্যথা শুরু হয়। এরপর আকাশ ও তাঁর বোনকে নিয়ে পরদিনই শিশুরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও ওই চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধেও ঘুমোতে পারেনি আকাশ। এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতি আকাশে বাবা জাহাজে কর্মরত সুনীল দাস দেশের বাইরে ছিলেন। এরপর ৬ অগাস্ট সকালে বমি হওয়ার পর আর ঝুঁকি নেননি আকাশের মা।

আরও পড়ুন, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু শীঘ্রই, দেশের ২১ হাসপাতালকে চিহ্নিত করল ICMR

 

ছেলের মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা

৬ অগাস্ট সকাল সাড়ে নটা নাগাত নাগেরবাজারের আইএলএস হাসপাতালে আকাশকে নিয়ে যান তার মা। এবং সেখানে সেদিন দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট নাগাত আকাশকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কৃর্তৃপক্ষ। এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত বিমানে ফেরেন সুনিল দাস। ছেলের মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত নথি চাওয়ার পাশাপাশি ছেলের মৃত্যুতে আইএলএস হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি কমিশনে। গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয় দমদম থানাতেও। এরপরেই আকাশের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। কেন মৃত্যু হয়েছিল ছোট্ট আকাশের, উত্তরের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে সবাই।

Share this article
click me!