থামার নাম নেই। বেড়েই চলেছে কলকাতার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। আগে ৩২৬ থাকলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৩৮। কলকাতার সংক্রমিত এলাকার তালিকায় নতুন করে ১২টি এলাকা যুক্ত হয়েছে। যার মধ্য়ে সবথেকে বেশি সংক্রমণ বেড়েছে কলকাতা পুরসভার সাত নম্বর বরোতে। পরিসংখ্যান বলছে, চারটি সংক্রমিত এলাকা বেড়েছে সেখানে।
করোনা আতঙ্কে জনরোষ থেকে মুক্তি, কলকাতার একটি এটিএমের ঠান্ডা ঘরে বিষধর সাপ তুলল ফোঁস
এদিকে দুটি সংক্রমিত এলাকা বেড়েছে ১০ নম্বর বরোতে। একই সংখ্য়ক সংক্রমিত এলাকা বেড়েছে নয় নম্বর বরোতেও। পাশাপাশি নতুন করে একটি করে সংক্রমিত এলাকা বেড়েছে ২, ৩, ১২ ও ১৫ নম্বর বরোতে। সংখ্য়াতত্ত্ব বলছে, কলকাতা পুরসভা এলাকায় সংক্রমণের শীর্ষে সাত নম্বর বরো। মোট সংক্রমিত এলাকা ৪৯ টি। সংক্রমণের তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে চার ও ছয় নম্বর বরো। সংশ্লিষ্ট দুই বরোতেই ৩৭টি করে সংক্রমিত এলাকা রয়েছে। তৃতীয় স্থানে যুগ্মভাবে পাঁচ ও পনেরো নম্বর বরো। এই দুটিতেই ৩০ টি করে সংক্রমিত এলাকা রয়েছে। ওয়ার্ড ভিত্তিক সংক্রমিত এলাকায় এখনও শীর্ষে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড।
বিজেপিকে করোনা অস্ত্রে ঘায়েল করার পরিকল্পনা, গুজরাতের ভিডিয়ো আনছে তৃণমূল.
এদিকে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা কমেছে এখানে ১২ নম্বর বরোতে। এখানে ৯টি করে সংক্রমিত এলাকা রয়েছে ৬০ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে। আটটি করে সংক্রমিত এলাকা রয়েছে ১০৮, ১০৯ ও ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। পাশাপাশি সাতটি সংক্রমিত এলাকা রয়েছে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ছটি সংক্রমিত এলাকা রয়েছে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্যদিকে,পাঁচটি করে সংক্রমিত এলাকা রয়েছে ৩১, ৫৬ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে। গত ২৪ ঘণ্টায় বোরো ভিত্তিক সংক্রমিত এলাকার নিরিখে সাতটি বরোতে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা বেড়েছে । মাত্র একটি বরোতে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা কমেছে। সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা একই আছে ৮টি বরোতে।
শুধু কলকাতাতেই করোনায় আক্রান্ত ৯৪৮, মৃতের সংখ্যা ৭৪.
স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার কমটেইনমেন্ট জোন বৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়েছে কলকাতা পুরসভা ও স্বাস্থ্য় ভবনের। সম্প্রতি কলকাতার করোনা সংক্রমণ নিয়ে মুখ্ খুলেছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে মহানগরবাসীকে। সচেতন না হলে আগামী দিনে আরও ভয়াবহ পরিণিতির দিকে যাবে কলকাতা। তবে তিনি আশাবাদী, শীঘ্রই এ বিষয়ে সচেতন হবে মহানগরবাসী।