শনিবার দিল্লিতে বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা ও মোদীর মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। মোদীর বক্তৃতার প্রশংসাও করেন মমতা। তারপর সবার জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল মোদীর তরফে। যদিও তা এড়িয়ে যান মমতা।
সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এদিকে বৈঠক শেষে সবার জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন মোদী। কিন্তু, সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন মমতা। আর তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন। কেন তিনি সেই নৈশভোজে যোগ দিলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে। আর এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ইফতারের নিমন্ত্রণ ছিল, তাই হয়তো প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে যাননি।'
প্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লিতে বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা ও মোদীর মধ্যে কুশল বিনিময় হয়। মোদীর বক্তৃতার প্রশংসাও করেন মমতা। তারপর সবার জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল মোদীর তরফে। যদিও তা এড়িয়ে যান মমতা। শনিবার সকালে রাজধানীতে বিজ্ঞান ভবনে প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানের পরে চা-চক্রে মোদী, মমতার দেখা হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানাও সেখানে হাজির ছিলেন। মমতা দু’জনকেই উত্তরীয় পরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁর বক্তৃতা ভালো হয়েছে। মোদীও পাল্টা ধন্যবাদ জানান। তবে এত কিছুর পরও মোদীর নৈশভোজ এড়িয়ে যান মমতা। এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত রোজা রেখেছেন, সেই কারণে হয়তো নৈশভোজে থাকতে পারেননি।"
আরও পড়ুন- বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বিজেপিতে গণইস্তফা, তথাগত-অনুপমের কথাই কি সত্যি হল এবার
এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে এবং এখানে বিচারপতি কম। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে দিলীপবাবুর বক্তব্য, "রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে কেন খুনখারাপি হবে? তিনি বিচার করতে দেবেন না চাপা দেবেন? এরপর যদি কেউ আদালতে যায়, কি করে সেটা রাজনীতি হয়?"
আরও পড়ুন, বাবুলের শপথ ইস্যুতে ফের বিতর্কে রাজ্যপাল, স্পিকারকে পাশ কাটিয়ে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব
পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে যে স্থানীয় ভাষার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন মোদী সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "স্থানীয় ভাষাতেই হওয়া উচিত। আমরা দেখেছি, অনেক কিছুই সবাই বোঝেন না। নিজের বক্তব্য কী পেশ করছেন সেটা সবার বোঝা উচিত।"
আরও পড়ুন, 'মিড ডে মিলের টাকা মারতেই স্কুলে গরমের ছুটি', শুভেন্দু-দিলীপদের তোপের মুখে মমতার সরকার
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে পাটশিল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকালই দিল্লিতে যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সেখানে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। অর্জুনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন দিলীপ। তাঁর মতে, "উনি যেটা চাইছেন, সেটা বলাই উচিত সঠিক জায়গায়। এর আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল অনেক প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এরপরেও যদি কিছু করার থাকে, কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চয়ই সেটা করবে।"