১৩ লক্ষের উপরে জলবন্দি মানুষ, নিম্নচাপে ফের প্রবল বর্ষণ বাংলায়, কন্ট্রোল রুম খুলল নবান্ন

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত, ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস।১৩ লক্ষের উপরে জলবন্দি মানুষ, মৃত ১৪, কন্ট্রোল রুম খুলেছে নবান্ন।

Asianet News Bangla | Published : Sep 21, 2021 8:27 AM IST / Updated: Sep 21 2021, 02:01 PM IST

ভারী বৃষ্টি বেহাল অবস্থা শহর-শহরতলিতে। বন্যায় ভেসেছে ইতিমধ্যেই দুই মেদিনীপুর। জলে ডুবে রেল লাইন-রাস্তা। ১৩ লক্ষের উপরে জলবন্দি বাংলার মানুষ। তারই মধ্যে ফুঁসছে নিম্নচাপ। ফের এদিনও ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস। এরই মধ্য়ে রয়েছে দুই মেদিনীপুরও। এহেন ভয়ানক দুর্যোগে ইতিমধ্য়েই জেলার প্রতিমুহূর্তের পরিস্থিতি জানতে নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আর এমনই সময় ফের প্রবল বর্ষণের পূর্বভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

আরও পড়ুন, জলে ডুবে লাইন, আজও হাওড়া-শিয়ালদহ শাখায় স্থান- সময় সূচি পরিবর্তন সহ একাধিক ট্রেন বাতিল

জলমগ্ন শহরতলি, জলের নীচে লাইন, ভেসেছে দক্ষিণবঙ্গ

মৌসুমী অক্ষরেখা ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের দুই জোড়া নিম্নচাপের ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি ও অতি ভারী বৃষ্টিতে  প্লাবিত এলাকার পর এলাকা। চরম ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ ,নিউটাউনের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়, বহু বাড়িগুলিতে ইতিমধ্যে ঘরে জল ঢুকে গেছে। সোমবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত যার কারণে চরম দুর্দশার মধ্যে মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেভাবে আর বৃষ্টি না হলেও হাওড়া শহরে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে একাধিক জায়গায় জল জমার কারণে ব্যাহত জনজীবন । অলিগলি তো রয়েছেই, বিভিন্ন রাজপথ জলের তলায় । এছাড়াও টিকিয়াপাড়া রেল কার্সেট  এলাকায় এখনো পর্যন্ত রয়েছে জলমগ্ন ফলে কার্যত জলের তলায় রেলওয়ে ট্র্যাক । ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার গাড়ি হাওড়া স্টেশন এর পরিবর্তে সাঁতরাগাছি শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । লোকাল ট্রেন পরিষেবা রয়েছে টিকিয়াপাড়া পর্যন্ত । সব মিলিয়ে বৃষ্টি থামলে ও ভোগান্তির ছবি একই ভাবে ধরা পড়ল হাওড়া শহরে।

আরও পড়ুন, Bhabanipur By Election:'পুলিশের বিরুদ্ধে কমিশনে যাব', প্রচারে বাধা পেয়ে হুঁশিয়ারি প্রিয়ঙ্কার
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত,  ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে এটি নিম্নচাপে পরিণত। এর প্রভাবে মঙ্গলবার বৃষ্টি হবে। বেশকিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তবে সব জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। পূর্ব মেদিনীপুর ,পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া,পুরুলিয়া ,পশ্চিম বর্ধমান- এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমান-এই জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দু-এক জায়গায়।বুধবারও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। এদিকে শনিবার ফের পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা। এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে উড়িষ্যা উপকূলে আসবে। এর প্রভাবে আগামী রবিবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নতুন করে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা।

আরও পড়ুন, 'দিলীপ ঘোষের আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল', সৌগতর কথায় মেজাজ হারালেন BJP-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি

১৩ লক্ষের উপরে জলবন্দি মানুষ, মৃত ১৪, সমস্যায়  টোল ফ্রি নাম্বার ১০৭০ তে যোগাযোগ করুন

  দুর্যোগের মাঝে ইতিমধ্য়েই জেলার প্রতিমুহূর্তের পরিস্থিতি জানতে নবান্নে কন্ট্রোল খোলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলা শাসককে বিপর্যয় মোকাবিলার খরচ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪৭ টি ব্লক এবং ৮ টি পুরসভা জলের নীচে। প্রায় ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ জলবন্দি রয়েছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জলে ডুবে, দেওয়াল খসে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি-শস্য, গবাদি পশু। জলমগ্ন জেলাগুলিতে ৫৭৭ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সেখানে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৬০ হাজারেরও বেশি ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। যে কোনও সমস্যায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে টোল ফ্রি নাম্বার ১০৭০ তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

 

Share this article
click me!