আমফানের জেরে তছনছ বাংলার ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকা। জাল ও দড়িও গিয়েছে জলের নীচে তলিয়ে। এদিকে আগামী ১৫ জুন থেকে শুরু হবে এই মরশুমের ইলিশ ধরার কাজ। সারাবছরের এই সময়টার দিকে তাকিয়ে থাকেন মৎসজীবিরা। কিন্তু ট্রলার মেরামতি করে জলে নামতে সময় লেগে যাবে প্রায় ছয় মাস। যার জেরে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় মৎসজীবিরা ও ট্রলার মালিকরা।
আরও পড়ুন, রবিবার থেকে টানা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, কলকাতার তাপমাত্রা ফের স্বাভাবিকের উপরে
একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতি অপরদিকে এই সময়টার দিকে তাকিয়ে থাকেন ভোজনরসিক বাঙালি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজারের উপরে ট্রলার আছে। এদিকে সুপার সাইক্লোনের দাপটে ক্ষতিগ্রস্থ বাংলার কয়েকশো ট্রলার। এদিকে আগামী ১৫ জুন থেকে শুরু হবে এই মরশুমের ইলিশ ধরার কাজ। এই মুহূর্তে কতগুলি মাছ ধরার অনুপযুক্ত হয়ে গিয়েছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা। কারণ বহু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। ফলে বহু মৎস্যজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁদের ট্রলার মালিকরা।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় আমফানের থাবা শহরের ৩০০টি রেশন ঘরে, ক্ষতিগ্রস্থ ৯০ কোটির খাদ্য়সামগ্রী
ওয়েস্টবেঙ্গল ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, বহু ট্রলার ডকে অথবা নদীর জলে ডুবে আছে। চেষ্টা করেও তোলা সম্ভব হচ্ছে না। নদীতেও ডুবে আছে বেশ কিছু ট্রলার। যে সমস্ত ট্রলারগুলো জলে ডুবে আছে সেগুলির জল বের করে মেশিন ঠিক করার পর তাকে সমুদ্রে পাঠাতে বেশ সময় লাগবে। তার উপর মিস্ত্রি ও শ্রমিকও পেতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ বহু মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তাই তাঁরা নিজেদের বাড়ি ঘর মেরামত করতেই ব্যস্ত। আর যত বেশি নদীর নোনা জলে এই সমস্ত ট্রলারগুলি পড়ে থাকবে তত সমস্যা দেখা দেবে। আর ততই বেড়ে যাবে খরচের বহর।
আরও পড়ুন, চারদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই, সিইএসসি সিপিএম আমলের প্রাইভেট সংস্থা বললেন মমতা