করোনা মোকাবিলায় এবার কলকাতার একাধিক এলাকায় স্প্রে করা হচ্ছে আয়নিত জল ও নেগেটিভ আয়ন স্প্রে। সেই এলাকায় নতুন করে আর কোনও নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়নি বলে পুরসভা দাবি করেছে। উল্লেখ্য়, ব্যয়বহুল এই রাসায়নিক তরলটি অবশ্য স্প্রে করার জন্য রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের সম্মতি আদায় করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন, শনিবার রাতেই আছড়ে পড়বে 'আমফান', বদলাতে চলেছে রাজ্য়ের আবহাওয়া, সতর্কবার্তা হাওয়া অফিসের
পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার জানিয়েছেন,'বেলগাছিয়া এবং রাজাবাজারের মত অতি সংক্রমণ বস্তিতে নেগেটিভ আয়ন অর্থাৎ 'অ্যালকালাইন স্প্রে' করেই করোনার সংক্রমণ বন্ধ করে দেওয়া গিয়েছে।' ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডের চেতলা লকগেট বসতি ছাড়াও শহরের একাধিক ওয়ার্ডে করোনা রোগী ধরা পড়লেই সংলগ্ন এলাকায় স্প্রে করা হয়েছে। কলকাতা পৌরসভার দাবি, সেই এলাকায় নতুন করে আর কোনও কোভিড আক্রান্ত হয়নি। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের দাবি, একবার ওই নেগেটিভ আয়ন শরীরে ঢুকলে অন্তত ১৫ দিন জীবাণু সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যাবে। আয়নিত এই জল নিয়মিত খেলে শুধু করোনা সংক্রমণ থেকেই বাঁচা যাবে, তা নয়। ডায়াবেটিস, রক্তচাপজনিত অসুখও কমবে।
অপরদিকে প্রশ্ন উঠেছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস মুখ বা নাক দিয়ে শরীরে ঢুকলে এই জল বা আয়ন কিভাবে প্রতিরোধ করছে। প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কলকাতার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ঘিঞ্জি বস্তিতে এই আয়ন স্প্রে করা সংস্থার ডিরেক্টর সুপ্রিয় কুমার। তাঁর দাবি, 'স্প্রে করলে অতিমাত্রার পি-এইচ ভেঙে আয়ন হয়ে শরীরে বিদ্যুৎ গতিতে ঢুকে করোনাভাইরাস ধংস করছে। আর স্প্রে থেকে সৃষ্টি হওয়া অক্সিজেন আয়ন রক্তে মিশে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। নাক বা মুখ দিয়ে ঢোকা ভাইরাসের ৯৮ শতাংশ স্প্রে-তে ধংস হবে। আর বাকি ২ শতাংশ ভাইরাস শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।'
কলকাতা মেডিক্যালের ভিতরের রাস্তায় অবহেলায় মৃত্যু এক বৃদ্ধের, করোনা আতঙ্কে দেহ ছুঁলেন না কেউ
অস্ত্রোপচারের পর রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ, করোনা আক্রান্ত মুকুন্দপুর আমরির এক চিকিৎসক ও নার্স
কোভিড হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্য়ুতেও পরিবার চাইলে সৎকার করবে কলকাতা পৌরসভা, জানালেন ফিরহাদ
করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারালেন এবার রাজ্যের এক আইনজীবী, এদিকে আইসোলেশনে তাঁর স্ত্রী